হিল ভয়েস, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বান্দরবান: গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বমপার্টি খ্যাত কেএনএফ সন্ত্রাসীরা বান্দরবানে ঘুরতে আসা ২২জন পর্যটককে ভেলাখুম নামক স্থানে প্রায় দেড় ঘণ্টা জিম্মি করে রেখে পর্যটকদের মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনতাই করার খবর পাওয়া গেছে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, রবিবার রাত ১০:৩০ টার দিকে ভেলাখুম নামক স্থানে উক্ত ঘটনাটি ঘটে।
পর্যটক ও গাইড এর মাধ্যমে জানা যায়, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, দুই দলের মোট ২২ জন পর্যটক নাফাখুম ভ্রমণে যান। পরদিন নাফাখুম থেকে ভেলাখুমে গিয়ে রাতে ক্যাম্পিং করে থাকার প্রস্তুতি নেন। ঠিক সেসময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে কেএনএফের সাতজনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল তাদের ক্যাম্পে হানা দেয়।
এরপর তাদেরকে প্রায় দেড় ঘণ্টা যাবত জিম্মি করে রেখে তাদের কাছে থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ১ টার দিকে ছেড়ে দেয়।
এসময় সন্ত্রাসীদের মুখে মাস্ক এবং গায়ে পাতা রঙের পোশাক ও কেএনএফ লেখা ছিল বলেও পর্যটকরা জানিয়েছেন।
এদিকে, ভুক্তভোগী এক পর্যটকের ভিডিও ফেসবুকে প্রচারিত হওয়ার পর নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সত্যতা চাপা দিতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে উক্ত ঘটনার সঙ্গে জেএসএস-কে দায়ী করে মিথ্যা ও বানোয়াট এক বিজ্ঞপ্তি নিজেদের ফেসবুক পেইজ থেকে প্রচার করছে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। এটা জনগণের চোখে জেএসএস-এর ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয় জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বান্দরবানের এক জেএসএস নেতা। তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই তড়িঘড়ি করে কেএনএফ কর্তৃক এধরনের বিবৃতি প্রদান বরং তাদের সম্পৃক্ততাকেই প্রমাণ করে এবং এ যেন ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, রুমার কেউক্রাডং থেকে বাড়ি ফেরার পথে বগালেক সড়কের হারমন পাড়া এলাকার রংতং ঝিড়ি নামক স্থানে ইউপি চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমাকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি করে এবং পকেটে থাকা ৩০ হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় উক্ত অস্ত্রধারী কেএনএফ সন্ত্রাসীরা।