হিল ভয়েস, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বিশেষ প্রতিবেদক: ২০২৩-২৪ সেশনের এমবিবিএসের ট্রাইবাল কোটায় ৭ বাঙালি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য যে, ২০২৩-২৪ সেশনের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে গত রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি)। এতে আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত কোটায় ৩৯ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে সাতজন শিক্ষার্থী আদিবাসী না হয়েও এ কোটায় ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। বিষয়টি ইতোমধ্যে কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে এবং এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গতকাল বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. টিটো মিঞা মেডিভয়েসকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ফর্ম পূরণের সময় কোটার অপশনে অনেকে ভুলবশত আদিবাসী অপশন পূরণ করে ফেলেছে। ফলাফল প্রস্তুতের সময় শিক্ষার্থীরা যেভাবে ফর্ম পূরণ করে সেভাবেই ফলও তৈরি করা হয়। আদিবাসী নন, এমন ৭ জন শিক্ষার্থী আদিবাসী কোটায় চান্স পেয়েছেন বলে জেনেছি। আমরা ইতোমেধ্যই তাদেরকে চিহ্নিত করেছি।’
তিনি আরও জানান, ‘অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদেরকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে পাঁচজন স্বীকার করেছে তারা আসলে আদিবাসী নন, ভুলবশত আদিবাসী কোটায় টিক চিহ্ন দিয়েছিল। বাকিদেরও দ্রুততম সময়ের মধ্যে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দকে জানিয়ে দিয়েছি এসব শিক্ষার্থীকে যেন ভর্তি করা না হয়। ভুল করে হোক আর যেভাবে হোক সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের আমাদের কাছে আসতে বলেছি। আমরা তাদের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবো। আর আদিবাসী কোটার এসব সিট সিরিয়াল অনুযায়ী পরবর্তীতে পূরণ করা হবে।’
ট্রাইবাল কোটায় নির্বাচিত হওয়া বাঙ্গালী শিক্ষার্থীরা হলেন- সাদিয়া আক্তার রাইসা (কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ, মানিকগঞ্জ), সায়মা আলম (সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ), তহুরা তানজিনা নিশাত (শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, কিশোরগঞ্জ), তাসনুবা অস্মিতা কাহন (শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ, গোপালগঞ্জ), আরফা জান্নাত সামিয়া (শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল), শাহরিয়ার হাসান শিফান (যশোর মেডিকেল কলেজ), এবং বৈশাখী দে নদী (শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, জামালপুর)।
এর আগে, ২০১৭ সালে সরকারি মেডিকেল কলেজের ডেন্টাল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ট্রাইবাল কোটায় চারজন বাঙালি শিক্ষার্থী মনোনীত হয়েছিল। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ তাদের ভর্তি বাতিল করে এবং সিরিয়াল অনুযায়ী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি শিক্ষার্থীদের বেছে নেয়।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মোট আসন সংখ্যার ৫% হিসাবে ২৬৯ জন শিক্ষার্থী এবং আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত কোটায় ৩৯ জন শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।