হিল ভয়েস, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটির সদর উপজেলার বালুখালী, জীবতলী ও মগবান ইউনিয়নে সেনাবাহিনী কর্তৃক হয়রানিমূলক টহল অভিযানের খবর পাওয়া গেছে। এসমসয় সেনাসদস্যরা এলাকাবাসীদেরকে নানারকম হয়রানিমূলক জিজ্ঞাসাবাদ ও হুমকি দেয় বলেও জানা যায়। এতে এলাকাবাসীদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলে একটি বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়।
গত মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের মরিচ্যাবিল সেনা ক্যাম্প হতে সুবেদার শাহাদাৎ ও হাবিলদার লোকমান নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জনের একটি সেনাদল বিকাল ৩ ঘটিকার সময় বালুখালী ইউনিয়নস্থ খারিক্ষ্যং বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে আনুমানিক ৪ ঘটিকায় হাবিলদার লোকমান নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একটি সেনা টহল দল প্রথমে বাদলছড়ি গ্রামে যেতে চাইলেও, সেদিকে না গিয়ে সরাসরি ট্রলার যোগে কাইন্দ্যা ব্রিজের দোকানে ৫.৩০ ঘটিকার সময় পৌঁছে।
ব্রিজের দোকানের রাস্তায় ও আশেপাশে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর হাবিলদার লোকমান লিটন চাকমার দোকানে এসে বসে। সেসময় সঞ্চয় চাকমা (প্রাক্তন মেম্বার) লিটন চাকমার দোকানে আগে থেকে অবস্থান করছিল। জনৈক হাবিলদার তখন দুইজনের কাছ থেকে নানা ধরনের জিজ্ঞাসা শুরু করে, সন্ত্রাসী এই মাসে কাইন্দ্যায় এসেছে কিনা? কতজন এসেছে? তাদের ড্রেস কি রকম , চাঁদা কত করে দিতে হয় ইত্যাদি হয়রানিমূলক প্রশ্ন করে। পরে সন্ধ্যা ৬.৩০ ঘটিকার সময় খারিক্ষ্যং বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে অবস্থান করে এবং সেখানে রাত্রি যাপন করে পরের দিন ২২ ডিসেম্বর সকাল ৮ ঘটিকায় ক্যাম্পে চলে যায়।
এদিকে, গত বুধবার (২২ ডিসেম্বর) মগবান ইউনিয়নের গবঘোনা সেনা ক্যাম্প হতে সুবেদার সাইফুল এর নেতৃত্বে ১৫/১৬ জনের একটি সেনা টহল দল সকাল ৯.৩০ ঘটিকার সময় জীবতলী ইউনিয়নের ধনপাতা রুছাই অং মারমা দোকানে এসে পৌঁছে। সেখানে পৌঁছামাত্রই কাউকে কিছু না বলে দোকানে বসে থাকা ব্যক্তিদের জোরপূর্বক ছবি তুলে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে ক্যাম্পে যাওয়ার সময় অগইয়া ছড়ি মারমা পাড়ায় পৌঁছালে পান্টু মারমা (৩১), পীং- রাজচন্দ্র মারমা ও আথোয়াই মারমা (৪০), পীং- দার্য্যা মারমার বাড়ি ও বাড়ির আশেপাশে জায়গায় অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করে বিকাল ২ ঘটিকার সময় ক্যাম্পে ফিরে যায় বলে জানা যায়।
তাছাড়া, একই তারিখে (২২ ডিসেম্বর) রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার জীবতলী ইউনিয়নের এস ব্যান্ড সেনা ক্যাম্প হতে রাত ৮ ঘটিকায় সময়ে জনৈক সুবেদারের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সেনা দল জীবতলী ইউনিয়নের জেতবন বৌদ্ধ বিহারে আসে, সেখানে অনেকক্ষন অবস্থানের পর রাত দশটার দিকে ক্যাম্পে চলে যায় সেনাসদস্যরা।
অন্যদিকে, জীবতলী সেনানিবাস ক্যাম্প হতে ১৫/২০ জনের একটি টহল দল জীবতলী ইউনিয়নের ভাঙা ব্রিজ গোড়া নামক স্থানে এসে কিছুক্ষন অবস্থানের পর ক্যাম্পে ফিরে যায় বলে জানা যায়।