হিল ভয়েস, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি সদর উপজেলাধীন বালুখালী ইউনিয়নের বসন্ত পাংখোয়া পাড়ায় খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন দেখতে গিয়ে জুরাছড়ি উপজেলার দুই স্কুল পড়ুয়া কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ধর্ষণের শিকার দুই কিশোরীর একজন ভুবনজয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ও আরেক জন একই স্কুলের ২০২৪ সালের এসএসসি পরিক্ষার্থী। তাদের দুইজনের বাড়ি জুরাছড়ি উপজেলার ২নং বনযোগীছড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বামে পানছড়ি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি উপজেলা থেকে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলাধীন বালুখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বসন্ত পাংখোয়া পাড়ায় খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উৎসব অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পাশের জুরাছড়ি উপজেলা থেকেও অনেক দর্শনার্থী অনুষ্ঠানটি দেখতে যায়। অন্যদের মত ভুক্তভোগী দুই কিশোরীও অনুষ্ঠানটি দেখতে যায়।
অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে ফেরার উদ্দেশ্যে রাত আনুমানিক ২-৩ ঘটিকার সময় ভুক্তভোগী দুই কিশোরী গাড়ি খুঁজতে বাইরে আসে। তখন আগে থেকে বাইরে থাকা রুবেল চাকমা (২৬), পীং-অরুন চাকমা, সাং- ৫নং ওয়ার্ড, ২নং বনযোগীছড়া ইউনিয়ন ও রাসেল চাকমা (৩০), পীং- অক্ষয় চাকমা, সাং- ৪নং ওয়ার্ড, ২নং বনযোগীছড়া ইউনিয়ন সহ আরো ২ জন তাদেরকে তাদের সাথে যেতে বলে। কিশোরীরা তাদের সাথে যেতে অপারগতা জানালে তাদের সাথে যেতে হবে বলে হুমকি দেয় ঐ ৪ জন যুবক। হুমকির পরও তাদের সাথে যেতে অপরাগতা জানালে ঐ ৪ জন যুবক জোরপূর্বক তুলে নিয়ে বসন্ত পাংখোয়া পাড়ার অদূরে একটি জুমঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে জানা যায়।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট ২নং বনযোগীছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা ধর্ষণকারীদের সাথে আপোষ করার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারদের চাপ প্রয়োগ করছে। আরো জানা যায়, ধর্ষণকারীরা আওয়ামী যুবলীগ রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। তাই তারা ধর্ষণের মত অপরাধ করলেও বর্তমানে কাউকে পরোয়া করছে না বলে জানা গেছে।