হিল ভয়েস, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, বান্দরবান: বান্দরবানের রুমা উপজেলায় কেএনএফ সন্ত্রাসী কর্তৃক পাইন্দু ইউনিয়নের ৩টি পাড়া থেকে হাস-মুরগী ও গৃহপালিত পশু ছিনতাই, ৭ জুম্ম গ্রামবাসীকে মারধর ও এক বৌদ্ধ ভিক্ষুর কাছ থেকে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১৬ ডিসেম্বর ) সকাল ৬ ঘটিকার সময় কেএনএফের ১৫ জনের একটি সশস্ত্র দল রুমা উপজেলার ১নং পাইন্দু ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ছাংদালা পাড়ায় প্রবেশ করে ১টি মোরগ ছিনিয়ে নেয়।
সেখান থেকে পাশের সাংনাক্র পাড়াতে যায়। সেখানে পৌঁছা মাত্রই সাংনাক্র পাড়ার বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষুকে বিহার থেকে বের করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে পাড়া থেকে অস্ত্র দেখিয়ে গ্রামবাসীর ৫টি মোরগ ও ১টি ছাগল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এরপর সন্ধ্যা ৭ টার সময় একই ইউনিয়নের ময়ালপি মারমা পাড়ায় প্রবেশ করে। সেখানে পৌঁছামাত্রই পাড়ার কার্বারিসহ ৭ পাড়াবাসীকে বেদম মারধর করে গুরুতর আহত করে।
আহতরা হল- ১.সানাইঅং মারমা (কারবারি), ২. হ্লাথোয়াইচিং মারমা, ৩. অংসিংনু মারমা, ৪. ক্যমংচিং মারমা, ৫. লুপ্রুসিং মারমা, ৬. মংওয়েই মারমা, ৭. শৈপ্রু মারমা।
ওই ৭ জন পাড়াবাসীকে মারধর করার পর কেএনএফ অস্ত্রধারী দলটি মুয়ালপি মারমা পাড়া বৌদ্ধ ভিক্ষুর কাছ থেকে থেকে ৫ হাজার জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, শান্তি কমিটির সাথে মিটিংয়ের পর থেকে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য অসহনীয় পর্যায়ে বেড়ে গেছে। গত ৫ নভেম্বর সভায় ঐক্যমতের অন্যতম বিষয় ছিল সংলাপ চলাকালীন কেএনএফ এবং সেনাবাহিনী পরস্পরের উপর আক্রমণ করবেনা। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা স্থানীয় মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো ও খুমীদের উপর বেপরোয়া চাঁদাবাজি, অপহরণ, মারধর, লুটপাট, ভাঙচুর, হুমকি, গৃহপালিত হাস-মুরগী ও গবাদিপশু অস্ত্র দেখিয়ে ছিনতাই সহ নানা ধরনের হয়রানিমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে অত্র এলাকার জনমনে ব্যাপক ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।