হিল ভয়েস, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, জুরাছড়ি: রাঙ্গামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলার বনযোগীছড়া জোনের অধীন লুলাংছড়ি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার জোর করে ২ জন হেডম্যান ও ৯ জন কার্বারীকে ক্যাম্পে ডেকে এক সভা করার খবর পাওয়া গেছে। সভায় ক্যাম্প কমান্ডার রুপান কার্বারীকে ২০ জন সেটেলার বাঙালিকে জায়গা দিতে হবে বলে নির্দেশ দেন। তবে কার্বারীরা কমান্ডারের নির্দেশ অবৈধ বলে তা মানতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
সভায় উপস্থিত দুইজন হেডম্যান যথাক্রমে- ১. মায়া নন্দ চাকমা, ১৪৩ নং কুসুমছড়ি মৌজা ও আনন্দ মিত্র চাকমা, ১৪৭ নং লুলাংছড়ি মৌজা।
অপরদিকে, উপস্থিত ৯ জন কার্বারী যথাক্রমে- ১. জ্ঞানশ্বর চাকমা, ২. ললিত চাকমা, ৩. জ্ঞানরঞ্জন চাকমা, ৪. ফুলোক্কা চাকমা, ৫.রুপান চাকমা, ৬. সুশান্ত চাকমা, ৭. কিরণ চাকমা, ৮. অমলেন্দু চাকমা ও ৯. গুনমুনি চাকমা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) জুরাছড়ি উপজেলার বনযোগীছড়া জোনের অধীন লুলাংছড়ি সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ওয়ারেন্ট অফিসার মোঃ রবিউল উল্লিখিত ২ জন হেডম্যান ও ৯ জন কার্বারীদের ক্যাম্পে ডেকে একটি সভা করে। সভায় ক্যাম্প কমান্ডার নির্দেশের সুরে বলেন, প্রত্যেক মাসে উল্লিখিত কার্বারীদের থেকে একজন ক্যাম্পে এসে ক্যাম্পের কাজ করে দিতে হবে। ক্যাম্প কমান্ডার, লুলাংছড়ি ক্যাম্পের পাশে বা নিচে লুলাংছড়ি ছড়ার পাশে রুপান কার্বারীকে তার এলাকায় ২০ পরিবারের জন্য জায়গা দিতে হবে বলে নির্দেশ দেন।
তবে ক্যাম্প কমান্ডার ২০ পরিবার কারা তা উল্লেখ করেননি। অভিজ্ঞমহলের অভিযোগ, বহিরাগত অনুপ্রবেশকারীদের অবৈধভাবে বসতিপ্রদানের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই ক্যাম্প কমান্ডার জোরপূর্বক উক্ত জায়গা আদায়ের চেষ্টা করছেন।
এছাড়াও, ক্যাম্প কমান্ডার, জোন কমান্ডারের নির্দেশ আছে বলে রুপান কার্বারীকে একটি সাদা কাগজে দস্তখত করতে বললে রুপান কার্বারী তার পক্ষে দস্তখত করা সম্ভব নয় বলে সাক্ষর না করে চলে আসেন।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) জোন কমান্ডার আজ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে সভা করার উদ্দেশ্যে সন্ধ্যার সময়ে লুলাংছড়ি পৌঁছেছেন বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, সেনাবাহিনী রুপান কার্বারীকে কাগজে সাক্ষর করার জন্য চাপ প্রয়োগ করছে।