হিল ভয়েস, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি জেলাধীন জুরাছড়ি উপজেলার দুমদুম্যা ইউনিয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম কনস্ট্রাকশন বিভাগের তত্ত্বাবধানে চলমান ট্রানজিট রোডকে প্রসারিত করার কাজে ক্ষয়ক্ষতির শিকার পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বাগান-বাগিচা ধ্বংস করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিপূরণ দাবি করলে ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করে সেনাবাহিনী। এবং স্থানীয়রা যদি কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তার পরিণাম শুভ হবেনা বলেও হুমকি দেয় সেনাবাহিনী।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম কনস্ট্রাকশন বিভাগের তত্ত্বাবধানে চলমান ট্রানজিট রোডের কাজ ইতিমধ্যে জুরাছড়ি উপজেলাধীন ৪নং দুমদুম্যা ইউনিয়নের ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ডে চলমান রয়েছে। এই রোডকে প্রসারিত করার লক্ষ্যে রোড সাইডে অবস্থিত সেগুন ও গামারী বাগানের গাছগুলো মালিকদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা না করেই কেটে মালিকদের বুঝে না দিয়ে নিজেরাই গাছগুলো নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও, রোডের কাজের জন্য স্থানীয় ঝিড়ি ও ছড়া থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য হুমকির মধ্যে রয়েছে বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।
জানা যায়, এই কাজের তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে দায়িত্ব রয়েছেন, সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার রঞ্জন চাকমা। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, তাদের সাথে আলোচনা ছাড়াই নিজের ইচ্ছেমত ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বাগানের গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে এবং ঘরগুলো ভেঙে দিচ্ছে সেনাবাহিনী। উদাহরণস্বরূপ জগদীশ কার্বারীর বাড়িটি এক বছরে দুই বার ভেঙে নতুন করে তুলতে হলেও তাকে কোনপ্রকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি।
স্থানীয়রা দায়িত্বরত অফিসারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করলে ক্ষতিপূরণ দিতে নারাজি জানায় এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে হুমকি দেয়া হয় যে, যদি এলাকাবাসীরা কাজে কোন প্রকার বাধা প্রদান করে তাহলে পরিণাম শুভ হবে না।
অন্যদিকে, জুরাছড়িতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সেনা অভিযানের খবর পাওয়া গেছে। মূলত আওয়ামী-লীগের নির্বাচনী প্রচারণারত নেতৃবৃন্দদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর এই অভিযান বলে জানা যায়।
এদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জন্য জুরাছড়ি বনযোগীছড়া জোনের অধীন লুলাংছড়ি সেনা ক্যাম্প হতে সুবেদার রবিউল এর নেতৃত্বে ১৯ জনের একটি সেনাদল ইতিমধ্যে লুলাংছড়ি ক্যাম্প হতে বেরিয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
একই জোনের অধীন শিলছড়ি ক্যাম্প হতে আরেকটি সেনাদল ঘিলাতুলী, জামেস ছড়ি ও মগাছড়ি মৌন পাড়ায় অবস্থান নিচ্ছে বলে জানা যায়।