হিল ভয়েস, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, চট্টগ্রাম: গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর)চট্টগ্রামের নন্দনকাননের ইউনাইটেড গলির ভিতরে, নুরজাহান ভিলার ৩য় তলার বাসিন্দা শ্যামল সাহার পুত্র সুমন সাহা (২৬)-কে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
এজাহার ও ঘটনা সুত্রে জানা যায়, সুমন সাহা হাজারী পলি মিয়া শপিং মার্কেটের আড়াই তলায় তাঁর বাবার স্বর্নের দোকানে কারিগর হিসেবে কাজ করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর ২০২৩) সন্ধ্যা আনুমানিক ০৬.৩০ মিনিট সময়ে সে দোকানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা হতে বের হয়ে যায়।
সেদিন রাত অনুমান ১১.৩০ মিনিট সময়ে সুমন তার মা লিপি রানী সাহা (৪৭)-কে ফোন করে জানান যে, তিনি তার পূর্ব পরিচিত দুলু মামার কাছে যাচ্ছেন। কিন্তু রাত অনুমান ০২.০০ মিনিট সময় পর্যন্ত তার ছেলে বাসায় না ফিরলে, তখন সুমনের বাবা সুমনকে ফোন দিলে সুমন তাঁর বাবাকে বলে কিছুক্ষণ পর বাসায় আসবে বলে জানান।
ঐ রাতে আর সুমন বাসায় ফিরে নাই পরের দিন অর্থাৎ (২৭ নভেম্বর) সকাল অনুমান ১০.০০ মিনিট সময়ে সুমনের বাবা পুনরায় সুমনের মোবাইল নাম্বারে ফোন করলে তিনি ফোনে পাওয়া যায় নাই। পরবর্তীতে বিষয়টি সুমনের মামা বিনয় সাহা (৪৮)-কে জানালে তিনিও সুমনের মোবাইল ফোনে কল দিলে ফোন রিসিভ হয় নাই।
তারপর দিন সুমনকে খবর নিতে গেলে একপর্যায়ে দুলু বিনয়কে বলেন যে, সুমনের সাথে আমি, রিটু, মামুন’সহ আরো কয়েকজন মিলে স্বর্ণের ব্যবসা করতাম। টাকা পয়সার লেনদেন সংক্রান্তে আমাদের মধ্যে বিরোধ আছে। কিছুক্ষণ পর দুলু’সহ সেখানে পূর্ব হতে অবস্থানরত ৪/৫ জন লোক মিলে সুমনকে অজ্ঞান অবস্থায় টেনে নিয়ে আসেন।
তখন বিনয় দেখে যে, সুমনের সারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তজমাট জখম দেখা যায়। তাৎক্ষনিকভাবে সুমনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন, এসময় থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহতের সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন।
পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার বিষয়ে নিহতের মা লিপি রানী সাহা (৪৭) বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করে গত (২৮ নভেম্বর ২০২৩) একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, মামলা নং ৪৭/৬০৯।
আসামিরা হলেন, চন্দনাইশ উপজেলার বাইনজুরি গ্রামের মৃত ইসহাক মিয়ার পুত্র ১। মোহাম্মদ মফিজুর রহমান দুলু (৫৬), সদর উপজেলার, এনায়েতবাজার, জুবলী রোড, ২নং গলি, ফোম মার্কেট সংলগ্ন আব্দুল সওদাগরের বাড়ীর, আব্দুল সওদাগরের পুত্র ২।নুর হাসান রিটু (২৮), মোঃ গোলাম মোস্তফার পুত্র ৩। মোঃ মামুন (৩৮) আরও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম ওবায়েদুল হক এর নিকট ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন এজাহারে বর্নিত ৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন।