হিল ভয়েস, ১২ নভেম্বর ২০২৩, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকার এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর থেকে পঁচিশ বছর পর, এই চুক্তি লঙ্ঘন করে এই অঞ্চলের সামরিকীকরণ অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) ইস্যুকৃত এক প্রতিবেদনে এ্যামনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল উল্লেখ করে যে, ২০১৯ সাল থেকে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে পাঁচটি বড় আকারের সংগঠিত আক্রমণ হয়েছে যেগুলি সাধারণত একটি সামাজিক মিডিয়া পোস্টের প্রতিক্রিয়া হিসাবে লুটপাট এবং তারপরে সহিংস ধ্বংসাত্মক ঘটনা ছিল, যা প্রায়শই মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে সাধারণ নির্বাচনের আগে দেশে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং দ্রুত অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করতে জাতিসংঘের আসন্ন ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর)-কে কাজে লাগাতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
ইহা বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য যে, ১৩ নভেম্বর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চতুর্থবারের মতো জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সর্বজনীন পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনায় (ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ-ইউপিআর) বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি যাচাই করা হবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউপিআর প্রতি চার বছরে একবার সংস্থার সব সদস্যদেশের মানবাধিকার রেকর্ড পর্যালোচনা করে। ইউপিআর ২০০৯, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার রেকর্ড পর্যালোচনা করেছিল।
বিবৃতিতে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপ-আঞ্চলিক পরিচালক লিভিয়া স্যাকার্দি বলেন, বাংলাদেশের চতুর্থ ইউপিআর এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশটির মানবাধিকার, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, বিরোধী নেতা, স্বাধীন গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজ পদ্ধতিগত আক্রমণের মুখোমুখি। বাংলাদেশের মানবাধিকার রেকর্ড যাচাই এবং কর্তৃপক্ষকে তাদের আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা-প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘনের জন্য জবাবদিহি করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোর সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে এই পর্যালোচনা।
এ্যামনেস্টি তার প্রতিবেদনে মত প্রকাশের স্বাধীনতার বর্তমান অবস্থা, জোরপূর্বক গুম এবং বিচারবহির্ভূত মৃত্যুদণ্ড, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা, মৃত্যুদণ্ড, সংখ্যালঘু এবং শরণার্থী অধিকার ইত্যাদি বিষয়ে উল্লেখ করেছে।