হিল ভয়েস, ১১ নভেম্বর ২০২৩, আন্তর্জাতিক : গতকাল ১০ নভেম্বর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ত্রিপুরা চাকমা স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন (চাকমা ছাত্র যদা) ও চাকমা ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (সিএনসিআই) এর উদ্যোগে ত্রিপুরা রাজ্যের অমরপুর, উদয়পুর, লংতরাই ভ্যালী, কৈলাসশহর, গন্ডাছড়া ও কাঞ্চনপুর শাখায় একযোগে মহান বিপ্লবী নেতা এমএন লারমার ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়।
এসময় তারা মহান নেতার ছবিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে ও পুষ্পমাল্য অর্পনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং কাঞ্চনপুর শাখার উদ্যোগে শাক্য সদক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সিএনসিআইয়ের ত্রিপুরা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট অনিরুদ্ধ চাকমা, চাকমা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুবল কুমার চাকমা, চাকমা স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা৷
স্মরণ সভায় অনিরুদ্ধ চাকমা বলেন, ১৯৮৩ সালের ১০ই নভেম্বরে যদি মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা বিভেদপন্থীদের দ্বারা শহীদ না হতেন তাহলে আজ পার্বত্য চট্টগ্রামে অমুসলীম জনগোষ্ঠী মুসলীম জনগোষ্ঠীর দ্বারা নির্যাতনের শিকার না হতেন। আজ হয়তো পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জনগোষ্ঠী তাদের অধিকার ফিরে পেতেনে।
তিনি আরো বলেন, আজকের দিনটি গোটা পৃথিবীতে চাকমা জনগোষ্ঠীর শোকের আর স্মরণের দিন। তিনি ১৯৭০ সালে এমপি নির্বাচিত হন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠীর দু:খের কথা কষ্টের কথা অধিকারের কথা তুলে ধরেন। তিনি তখন একটি স্বশাসিত আলাদা অঞ্চল দাবি করেন। কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠীদের নিজেদের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে হলে স্বশাসিত অঞ্চল প্রয়োজন।