হিল ভয়েস, ১৪ নভেম্বর ২০২৩, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ইউনিভার্সেল পিরিওডিক রিভিউ (ইউপিআর)-এ ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সময়-সূচি ভিত্তিক রোডম্যাপ ঘোষণা করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (১৩ নভেম্বর) জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপের ৪৪তম অধিবেশনে ডেনমার্ক কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এই সুপারিশ করা হয়।
বাংলাদেশ সরকারের উপর এটা মানবাধিকার পরিষদের ৪র্থ বার রিভিউ করা হলো। এর আগে ইউপিআর ২০০৯, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার রেকর্ড পর্যালোচনা করেছিল।
৪র্থ ইউপিআরে মেক্সিকো কর্তৃক আদিবাসী ও ট্রাইবাল জাতিগোষ্ঠী বিষয়ক আইএলও কনভেনশন ১৬৯ অনুস্বাক্ষর করা; জার্মানী কর্তৃক আদিবাসীদের জাতিগত পরিচয়ের স্বীকৃতি প্রদান করা; কোষ্টারিকা কর্তৃক আদিবাসীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আদিবাসী সম্প্রদায়সহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করা এবং রোমানিয়া, স্লোভানিয়া, তুর্কিস্থান, বারবাডোস, ক্যামেরুন, ইথিওপিয়া, ফ্রান্স, ইতালী, কেনিয়া, গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া কর্তৃক জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার এবং সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সুপারিশ করা হয়েছে।
ইউপিআরে ধর্মীয় স্বাধীনতা; মানবাধিকার সুরক্ষা কর্মীদের নির্যাতন, হয়রানি, অপরাধীকরণ, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা; মত প্রকাশের স্বাধীনতা; নারী ও শিশুর উপর সহিংসতা; নাগরিক ক্ষেত্র সংকোচিতকরণ; স্বাধীন, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ইত্যাদি সহ বিভিন্ন ইস্যুর উপর ১১৫টি রাষ্ট্র কর্তৃক বিভিন্ন সুপারিশ প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল হকের নেতৃত্বে একটি সরকারী প্রতিনিধিদল ৪র্থ ইউপিআরে অংশগ্রহণ করে। উক্ত প্রতিনিধিদলে পররাষ্ট্র সচিবও ছিলেন বলে জানা গেছে।
নাগরিক সমাজের পক্ষে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, নাগরিক উদ্যোগ, কাপেং ফাউন্ডেশন, ব্রাক, বন্ধু সোসাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ প্রভৃতি সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ ইউপিআরে অংশগ্রহণ করেন। নাগরিক প্রতিনিধি দলে দৈনিক প্রথম আলোর কামাল আহমেদও ছিলেন বলে জানা গেছে।