হিল ভয়েস, ২ নভেম্বর ২০২৩, বিশেষ প্রতিবেদন: খাগড়াছড়িতে এক সপ্তাহের মধ্যে আদিবাসী ১ তরুনীকে ধর্ষণ ও আরেক তরুনীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছে কাপেং ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক।
কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা ও বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী ফাল্গুনী ত্রিপুরা যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতির মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতির মাধ্যমে জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর ২০২৩ আনুমানিক দুপুর ২: ১৫ মিনিটে এক আদিবাসী মারমা তরুণী চট্টগ্রাম থেকে মানিকছড়িতে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হয়। এ ঘটনায় তরুণীর বাবা অজ্ঞাতনামা তিনজনের নামে মামলা করলে পুলিশ গত ২৯ অক্টোবর বিভিন্ন স্থান থেকে তিনজনকে আটক করে।
অভিযুক্ত তিন আসামীর নাম হচ্ছে- ১। মো. শাহ আলী (২০) ২। মিজানুর রহমান (২২) এবং ৩। মো. হোসেন আলী।
এদিকে গত ৩১ অক্টোবর ২০২৩ খাগড়াছড়ি শহরের শান্তিনগর বীর মুক্তিযোদ্ধা শামশুল হক হলের আইসিটি কোচিং সেন্টারে এক ত্রিপুরা তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। মেয়েটি প্রতিদিনের মত কম্পিউটার প্রশিক্ষণে গেলে সেখানে প্রশিক্ষক মো. কাউসার দ্বারা এ ঘটনার শিকার হয়।
উক্ত দুই ঘটনায় কাপেং ফাউন্ডেশন ও আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং সেই সাথে উভয় ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আদিবাসী নারী ও কন্যাশিশুরা প্রতিনিয়ত এ ধরণের যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে্। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে এগুলোর কোন সুষ্ঠু তদন্ত হয়না বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে অভিযুক্তরা কিছুদিন পর জামিন নিয়ে কারামুক্ত হয় এবং একই ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতায় জড়িত হলে আদিবাসী নারীর নিরাপত্তাহীনতা তৈরী করে। তাই এ ধরণের ঘটনায় কাপেং ফাউন্ডেশন ও আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করা হল।