হিল ভয়েস, ৯ অক্টোবর ২০২৩, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি সদর উপজেলাধীন জীবতলী ও মগবান ইউনিয়নের জুম্ম গ্রামবাসীদের কাছ থেকে ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি সংগ্রহের নামে সেনাবাহিনী স্থানীয় জুম্ম গ্রামবাসীদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে রাঙ্গামাটি জেলার সদর উপজেলার জীবতলী ইউনিয়নে অবস্থিত গবঘোনা সেনা ক্যাম্প এর সেনা সদস্যরা জীবতলী ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী মগবান ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের জুম্মদেরকে তাদের ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি এক কপি করে ক্যাম্পে জমা দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল।
সেনাবাহিনীর চাপ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মুখে, গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ জীবতলী ও মগবান ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৯ জুম্ম গ্রামবাসী তাদের ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি সেনা ক্যাম্পে জমা দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা হলেন- ১। দয়াময় চাকমা (৪৫), পীং-পূর্ণজয় চাকমা, গ্রাম-পানছড়ি, তিনি জীবতলী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার; ২। উদয় চন্দ্র কার্বারি (৫৭), পীং-শুক্র কুমার চাকমা, গ্রাম-পানছড়ি, জীবতলী ইউনিয়ন; ৩। উমেদ কার্বারি (৫৬), পীং-আনন্দ লাল চাকমা, গ্রাম-পানছড়ি, জীবতলী ইউনিয়ন; ৪। কিরণময় কার্বারি, পীং-বাক্তা চাকমা, গ্রাম-নোয়াদাম পাড়া, মগবান ইউনিয়ন; ৫। কিনাধন কার্বারি (৫৫), পীং-মনোরঞ্জন চাকমা, গ্রাম-নোয়াদাম পাড়া, মগবান ইউনিয়ন; ৬। ভিন্ন কার্বারি (৭২), পীং-যুবরাজ চাকমা, গ্রাম-গবঘোনা, মগবান ইউনিয়ন; ৭। অক্ষয়মনি কার্বারি (৫৮), পীং-নিশি মোহন চাকমা, গ্রাম-লেন্দ্রাছড়া, জীবতলী ইউনিয়ন; ৮। কিরণময় চাকমা, পীং-অজ্ঞাত, গ্রাম-গরগজ্যাছড়ি, তিনি মগবান ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও ৯। শিলস কার্বারি (৬৮), পীং-তকুমার চাকমা, গ্রাম-গবঘোনা, মগবান ইউনিয়ন।
সেনাবাহিনীকে কেন আইডি কার্ড ও ছবি জমা দিতে হলো তা জানতে চাইলে, গ্রামবাসীরা নিজেরাও জানেন না বলে জানান।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের আশঙ্কা হচ্ছে, সেনাবাহিনী তাদের এই ব্যক্তিগত তথ্যগুলি তাদেরকে হয়রানি ও বিপদে ফেলার জন্য ব্যবহার করতে পারে। তারা জানান, ভোটার আইডি কার্ড ও ছবি সংগ্রহ করা তো সেনাবাহিনীর কাজ নয়। তাছাড়া, বাঙালি কারো কাছ থেকে এভাবে আইডি কার্ড ও ছবি সংগ্রহ করা হচ্ছে না, কেবল জুম্মদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান গ্রামবাসীরা।