হিল ভয়েস, ৭ অক্টোবর ২০২৩, ঢাকা: ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণঅনশন ও গণঅবস্থান চলাকালীন সরকার প্রধানের প্রতিনিধি আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ার কর্তৃক প্রতিশ্রুত ‘জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন’ বিল জাতীয় সংসদের আসন্ন অধিবেশনে উত্থাপন ও অনুমোদনের জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
আজ শনিবার (৭ অক্টোবর ২০২৩) ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় গৃহীত প্রস্তাবে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের অন্যতম সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রাণা দাশগুপ্ত। রাজধানীর সেগুনবাগিচার কচি কাঁচার মেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং সকল জেলা, মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সভায় গৃহীত প্রস্তাবে ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের জন্য ঘোষিত সংখ্যালঘু স্বার্থবান্ধব অন্যান্য অঙ্গীকারসমূহ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংসদ নেতার বক্তব্যের মধ্যে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ প্রত্যাশা করা হয়।
সভায় প্রস্তাবে আসন্ন সার্বজনীন দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও হামলা বন্ধের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানানো হয়। এছাড়াও পূজার্চনাকে কেন্দ্র করে অবাঞ্ছিত বক্তব্য প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে এ ধরনের বক্তব্যের নিন্দা জানানো হয়।
ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার ২৩ অক্টোবর শুভ নবমীর দিন ঢাকার কেন্দ্রস্থল মতিঝিলে আওয়ামী লীগের ঘোষিত মহাসমাবেশ পুনঃনির্ধারণের জোর দাবি জানানো হয়।
সভায় আগামী ৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ সফল করার জন্যে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। এক্ষেত্রে সকল জেলা, মহানগর, উপজেলায় প্রস্তুতি সভা আহ্বান এবং জেলা পর্যায়ে পূজা উদযাপন পরিষদসহ সংখ্যালঘু ঐক্যমোর্চাভুক্ত সকল সংগঠনকে নিয়ে সমন্বয় কমিটি গঠন ও সকল অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় আসন্ন মহাসমাবেশের প্রস্তুতি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন মহাসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক ও সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য রঞ্জন কর্মকার। এছাড়া সভায় বক্তব্য রাখেন- এ্যাড. গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা এমপি, কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাস, মনীন্দ্র কুমার নাথ, এ্যাড. শ্যামল কুমার রায়, সাগর হালদার, মিহির রঞ্জন হাওলাদার, অতুল চন্দ্র মণ্ডল, কৃপেশ পাল, সুভাষ চন্দ্র সাহা, এ্যাড. দীপক কুমার ঘোষ, এ্যাড. দিলীপ কুমার মাঝি, লিটন কুমার সাহা, সুবীর চক্রবর্তী, ডা. সমীর কুমার দাস, মুক্তিযোদ্ধা দিলীপ কুমার নাগ, দীপক চন্দ্র ঘোষ, এ্যাড. বিকাশ রায়, অধ্যক্ষ তাপস বকসী, রোটারিয়ান নরেশ চন্দ্র ভৌমিক, এ্যাড. রঞ্জিত রায়, বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ, শ্যামল দাস, অধ্যাপক প্রণব সরকার, সুভাষ চন্দ্র সাহা প্রমুখ।