হিল ভয়েস, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, রাজশাহী: রাজশাহীর তানোরে ১০ বছরের ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির পাশে ঘাস কাটতে যায় ৫ম শ্রেণির এক আদিবাসি ছাত্রী। সেখানে ভাইকে বেঁধে রেখে দুই মুসলিম বাঙালি কর্তৃক বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ আনুমানিক দুপুর ১১-১২টার সময় তানোর উপজেলার কলমা ইউপির সালবাড়ি সল্লাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে শনিবার রাতে দুইজনকে আসামি করে তানোর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তানোর থানা পুলিশ ভিক্টিম আদিবাসী ছাত্রীকে উদ্ধার করে রোববার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করে।
অভিযোগকারী কর্তৃক জানা যায়, উপজেলার কলমা ইউপির সালবাড়ি সল্লাপাড়া আদিবাসীপাড়ায় তার ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে এবং ১০ বছরের ছেলে শনিবার দিন স্কুল বন্ধ থাকায় দুই ভাই বোন বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরের মাঠে ঘাস কাটতে যায়। এমন সময় একই গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে জনি (৩২) এবং আবুল কালামের ছেলে আলি (৩৬) ফাঁকা মাঠে দুপুরে দুই ভাই বোনকে পেয়ে আলি তার ছোট ভাইকে গাছের সঙ্গে বেধে রাখে এবং জনি ছাত্রীকে জোর করে মুখে গামছা দিয়ে আটকিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষণের শিকার আদিবাসী ছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং পরিবারের সদস্যরা ঘরে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে তানোর থানার ওসি আবদুর রহিম বলেন, ধর্ষণের শিকার ভিক্টিমকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার রাতেই থানায় একটি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। আসামি দুইজনকে আটকের চেষ্টায় পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ওসি।