হিল ভয়েস, ৬ আগস্ট ২০২৩, বিশেষ প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীসহ সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা সত্ত্বেও পার্বত্য চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ থেমে নেই। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসন ও কায়েমি স্বার্থবাদী মহলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে ও যোগসাজসে রোহিঙ্গারা পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অনুপ্রবেশ ও বসতিস্থাপন করছে। শুধু তাই নয়, তারা জুম্মসহ স্থায়ী বাসিন্দাদের হুমকি দিচ্ছে, হয়রানি করছে, জুম্মদের ভূমি বেদখলে জড়িত হচ্ছে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করে ভোটার তালিকাভুক্ত হচ্ছে, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পাচার করে গোটা পার্বত্য এলাকায় নিরাপত্তার হুমকি সৃষ্টি করছে।
অতি সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে অন্তত ৩০ পরিবার রোহিঙ্গা লোকজন বসতি গেড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এসব রোহিঙ্গারা স্থানীয় জুম্মদের মারধরসহ মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি স্থানীয় এলাকাবাসীসহ স্থানীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে লামার সরই ইউনিয়নের লুলাইং বাঙালি বাজার এলাকায় বহিরাগত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বসতিস্থাপনের সত্যতা পাওয়া গেছে।
লুলাইংমুখ বৌদ্ধ বিহারের সভাপতি চিংলক মুরুং (৭০) জানান, কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী শরণার্থী ক্যাম্প থেকে এসে অন্তত ৩০ পরিবার রোহিঙ্গা শরণার্থীর লোকজন লামার লুলাইং বাঙালি বাজার এলাকায় বসতি স্থাপন করেছে। এতে লুলাইং সহ আশেপাশের এলাকায় জননিরাপত্তার হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও জানান, ‘রোহিঙ্গারা কথায় কথায় স্থানীয় জুম্মদের বলে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোদের খুন করে পালিয়ে যাবো। আমাদের কেউ খুঁজে পাবে না। আমাদের পিছুটান নেই।’
লুলাইং বাজারের মুদি দোকানদার চিনওয়াই ম্রো বলেন, ‘রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে স্থানীয় লোকজন প্রায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে। কারণ তারা খুব অল্প টাকার (৩০০/৩৫০) বিনিময়ে দিনমজুরি করে। দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধগতি, এত অল্প টাকায় স্থানীয়রা কাজ করলে জীবিকা চলবে না। শ্রমবাজার এখন প্রায় রোহিঙ্গাদের দখলে।’
সরই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার মেনওয়াই ম্রো বলেন, ‘প্রভাবশালী লোকজনই রোহিঙ্গাদের এখানে নিয়ে আসছে। তাদের কারণে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। ইতিমধ্যে রোহিঙ্গারা কয়েকজন ম্রো গ্রামবাসীর জায়গা বেদখল করেছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাদের স্বার্থে রোহিঙ্গাদের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে।’
গত ২৭ জুলাই ২০২৩ তারিখ coxview.com নামে একটি অনলাইন গণমাধ্যম ও দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘অনেক রোহিঙ্গা জাতীয় পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) করে ফেলেছে। এমন একজন তারেক হোসেন। তাকে এলাকার সবাই রোহিঙ্গা হিসাবে জানে। অথচ সে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পাঁচলাইশ এলাকা থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র করেছে। স্থানীয়রা জানান, কক্সবাজার ও বান্দরবানে ভোটার হতে খুবই কড়াকড়ি হওয়ায় রোহিঙ্গারা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী সহ অন্যান্য জেলায় গিয়ে ভোটার হয়ে পরে লামায় স্থানান্তর করে নিচ্ছে।’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওই দুটি সংবাদমাধ্যম আরও বলেছে, ‘রোহিঙ্গারা পাহাড়ে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়েছে। বছর দুয়েক আগে লুলাইং মেরাইত্তা এলাকা হতে বার্মাইয়া আবুল হোসেন নামে একজনকে অস্ত্র সহ আটক করেছিল সেনাবাহিনী। এছাড়া কয়েকটি সন্ত্রাসী সংগঠনের পক্ষে স্থানীয় লোকজন হতে চাঁদা তোলেন হামিদ হোসেন, বার্মাইয়া তারেক ও আলী আহমদ। বছর চারেক আগে সরই আমতলী এলাকায় এক রোহিঙ্গা আপন মাকে গলাকেটে হত্যা করে। সেই খুনের আসামীকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ। রোহিঙ্গাদের আসার এই স্রোত বন্ধ করা না গেলে পাহাড় অনিরাপদ হয়ে উঠবে।’
রোহিঙ্গাদের বসতি বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম শেখ বলেন, ‘লামা থানা কর্তৃক ইতিমধ্যে অনেক রোহিঙ্গাকে ধরে শরণার্থী ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। লুলাইং এর বিষয়ে জানা ছিল না। উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, ‘বিষয়টি উদ্বেগজনক। জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলে রোহিঙ্গাদের দূর্গম পাহাড় থেকে অপসারণ করতে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বান্দরবানের এক আদিবাসী অধিকারকর্মী বলেন, ‘শুধু সিদ্ধান্ত ঘোষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সরকার ও প্রশাসনকে আরও কঠোর এবং সক্রিয় হতে হবে। অপরদিকে স্থানীয় জনগণকেও এব্যাপারে অধিকতর সচেতন হতে হবে এবং রোহিঙ্গাদের প্রতিরোধে আরও এগিয়ে আসতে হবে। না হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে তা বহুমাত্রিক ভয়াবহ নিরাপত্তা সমস্যা ডেকে আনবে।’
সরকারি নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা:
গত ৮ অক্টোবর ২০১৭ বান্দরবানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বান্দরবানের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, ‘একজন রোহিঙ্গাকেও পার্বত্য চট্টগ্রামে রাখা হবে না। এবিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ এরপর গত ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদার বলেন, ‘তিন পার্বত্য জেলার (রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি) নাজুক পরিবেশ ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে বাংলাদেশ সরকার সেখানে রোহিঙ্গা বসতি নির্মাণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ পরে ১২ মার্চ ২০১৮ পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈচিং বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামে রোহিঙ্গাদের বসবাস নিষিদ্ধ করেছেন এবং সকল রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কক্সবাজারে নিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন।’ পরে ২০১৯ সালের শুরুতেও পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈচিং পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় কোনো রোহিঙ্গা শরণার্থী থাকতে পারবে না বলে ঘোষণা দেন।
উল্লেখ্য, প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমারের রাখাইনে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সহিংস ঘটনার পর ব্যাপক হারে পার্বত্য চট্টগ্রামের পার্শ্ববর্তী কক্সবাজার জেলায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অনুপ্রবেশ শুরু হয়। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের বায়োমেট্রিক নিবন্ধনে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫৭৬ জন। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এই রোহিঙ্গাদের।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও অপরাধ থেমে নেই:
রোহিঙ্গারা পার্বত্য চট্টগ্রামে অনুপ্রবেশ বা বসতি করতে পারবে না বলে সরকার ও প্রশাসনের ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও শুরু থেকে আজ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে অনুপ্রবেশ থেমে নেই। বাস্তব ঘটনা তাই বলে। সম্প্রতি লামার সরই ইউনিয়নে ৩০ রোহিঙ্গা পরিবারের বসতিস্থাপনের খবরে তারই প্রমাণ মেলে। এর পূর্বেও রোহিঙ্গাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে অনুপ্রবেশ, জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করে ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়া, জুম্মদের ভূমি বেদখলে জড়িত হওয়া ও হয়রানি করা এবং মাদক পাচারে জড়িত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। কয়েকটি উদাহরণ নিম্নরূপ-
গত ৯ মে ২০২১ ভোর সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় অনুপ্রবেশকালে ৪৫ জন রোহিঙ্গাকে সেনাবাহিনী আটক করে। আটককৃত রোহিঙ্গারা শ্রমিক হিসেবে কাজের সন্ধানে বান্দরবানের আলীকদম ও থানচি উপজেলায় ট্রাক যোগে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল। তবে সেনাবাহিনীর দুটি চেকপোস্টে তাদের আটক করে বান্দরবান পার্বত্য জেলাধীন আলীকদম থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে অবশ্য সেনা চেকপোস্ট থেকে আটককৃত রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ হিল ভয়েস-এর ‘বান্দরবানে রোহিঙ্গারা অবাধে নিচ্ছেন জাতীয় পরিচয়পত্র’ শিরোনামে একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ঠিক কত রোহিঙ্গার কাছে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে, তার সঠিক হিসাব জানা যায়নি। অথচ রোহিঙ্গাদের ঠেকাতে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে রয়েছে সরকারের কড়া নিয়মকানুুন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে, এতকিছুর পরও রোহিঙ্গাদের হাতে উঠে যাচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ঘুমধুম ইউনিয়নে এখনো ৪০০ থেকে ৫০০ রোহিঙ্গা ভোটার রয়েছে। টাকার জোরেই স্থানীয় সিন্ডিকেট সবার চোখে ধূলো দিয়ে রোহিঙ্গাদের বানাচ্ছে বাংলাদেশের নাগরিক। এই চক্রে আছেন তথ্য সংগ্রহকারী, যাচাইকারী, সনাক্তকারী, এমনকি জনপ্রতিনিধিও।’
২০২০ সালে করোনা মহামারীর লকডাউনের সময়ও বান্দরবানে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ব্যাপক অনুপ্রবেশের অভিযোগ পাওয়া যায়। এসময় বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা, আলিকদম ও সদর উপজেলায় রোাহিঙ্গাদের দ্বারা চুরি-ডাকাতি, নারী অপরহণ ও ধর্ষণ, হত্যা, রাহাজানি, মাদকদ্রব্য পাচার, ভূমি বেদখল, সাম্প্রদায়িক কর্মকান্ডসহ নানা অপরাধ জগতের সাথে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
২০১৮ সালে রোহিঙ্গা ডাকাতদের হয়রানি ও হুমকির ফলে চাক জনগোষ্ঠীর সাতঘর্য্যা গ্রাম পরিত্যাগ করতে হয়। এর কয়েক বছর আগে ভূমি বেদখলকারী ও রোহিঙ্গা ডাকাতের হুমকি ও হয়রানির ফলে নাইক্ষ্যংছড়ির বাদুঝিরির নিজ ভূমি থেকে চাক জনগোষ্ঠীর ১৫ পরিবার উচ্ছেদ হয়েছিল বলে জানা যায়।
২০১৫ সালের মে মাসে উ ধম্ম ওয়াং চা ভিক্ষু নামে এক বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যার ঘটনার সাথে রোহিঙ্গাদের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। শুধু নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকায় রোহিঙ্গা সশস্ত্র গ্রুপ কর্তৃক বিগত ৫/৬ বছরে কমপক্ষে ২০ জন মারমা ও তঞ্চঙ্গ্যা গ্রামবাসীকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
গত ৯ এপ্রিল ২০২২ লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নে রাবার কোম্পানি কর্তৃক আদিবাসী জুম্মদের তিনটি গ্রামের প্রায় ৪০০ একর পরিমাণ ভূমি ও বাগান বেদখলের চেষ্টার অংশ হিসেবে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে জুম্মদের লাগানো শত শত গাছ কেটে দেয়া ও জঙ্গল পরিষ্কার করার ঘটনায় রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
এছাড়া রোহিঙ্গা জঙ্গীদের বিভিন্ন দলের মধ্যে যুদ্ধ, তাদের পাতানো মাইনে বিভিন্ন সময় জুম্ম নিহত ও আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে রাঙামাটি জেলার ৭টি উপজেলায় সর্বমোট ১২০টি রোহিঙ্গা পরিবারের সন্ধান পাওয়া গেছে। তারমধ্যে রাঙামাটি পৌরসভায় ১৫টি পরিবার, কাউখালী উপজেলায় ৭২টি পরিবার, কাপ্তাই উপজেলায় ১১টি পরিবার, বিলাইছড়ি উপজেলায় ১৩টি পরিবার, রাজস্থলী উপজেলায় ৩টি পরিবার, লংগদু উপজেলায় ৫টি পরিবার এবং বরকল উপজেলায় ১টি পরিবার রয়েছে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৫৬টি রোহিঙ্গা পরিবারের সন্ধান পাওয়ার খবর পাওয়া যায়। তারমধ্যে মানিকছড়ি উপজেলায় ৩০টি পরিবার, মহালছড়ি উপজেলায় ১৫টি পরিবার, গুইমারা উপজেলায় ৫টি পরিবার এবং রামগড়, দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি সদরে ২টি করে রোহিঙ্গা পরিবার রয়েছে।
১৯৭৯ সাল থেকে এ যাবৎ শুধু বান্দরবান জেলায় কমপক্ষে ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বসতি স্থাপন করেছে বলে জানা গেছে৷