হিল ভয়েস, ২৯ আগস্ট ২০২৩, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার জুরাছড়ি উপজেলায় উপজেলা ভবন নির্মাণেও সেনাবাহিনী বাধা প্রদান করেছে বলে জানা গেছে। এর পূর্বে মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে হিল ভয়েসে, জুরাছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে সেনাবাহিনী কর্তৃক বাধা প্রদান করার খবর প্রকাশিত হয়।
আজ ২৯ আগস্ট ২০২৩, দুপুরের দিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, জুরাছড়ি সদরে উপজেলা ভবন নির্মাণের কাজেও জুরাছড়ি সেনা ক্যাম্পের সেনা কর্তৃপক্ষ বাধা প্রদান করছে।
সূত্রটি জানায়, জুরাছড়ি উপজেলা ভবন নির্মাণে এলজিইডি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ৬ কোটি ৫২ লক্ষ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হলে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এতে অংশগ্রহণ করে। তবে এদের মধ্যে কাজটি করার চূড়ান্ত অনুমোদন পায় মেসার্স ইউ টি মং নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার পর, মেসার্স ইউ টি মং নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে উপজেলা ভবন নির্মাণ কাজ অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ অজ্ঞাত কারণে সেনবাহিনী ভবন নির্মাণ কাজে বাধা দেয় এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়।
সেনাবাহিনী কর্তৃক উপজেলা ভবন নির্মাণ কাজে বাধা দেয়ার বিষয়টি স্বয়ং উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মতিউর রহমান ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের তত্বাবধায়ক মোঃ হোসাইন জুরাছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা ইতিমধ্যে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসককে বিষয়টি অবহিত করেছেন।
উল্লেখ্য যে, আজই সকালের দিকে, জুরাছড়ি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজে সেনাবাহিনী বাধা প্রদান করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, জুরাছড়ির উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন ও এর সীমানা দেয়াল নির্মাণের লক্ষে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর হতে দরপত্র আহ্বান করা হলে সেখানে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইউ টি মং নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজটি পায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সীমানা দেয়ালের কাজ শুরু করলে জুরাছড়ি সেনা ক্যাম্পের সেনাবাহিনী বাধা প্রদান করে।
জানা গেছে, বাধা প্রদানের মুল কারণ হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জায়গার চৌহদ্দির মধ্যে ৭টি বাঙালি পরিবারের অবৈধ বসবাস রয়েছে। সীমানা দেয়াল দেওয়া হলে নিয়ম অনুযায়ী অবৈধভাবে বসতকারী বাঙালিদের সেখান থেকে উচ্ছেদ হতে হবে।
গতকাল (২৮ আগস্ট) রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা: নীহার রঞ্জন নন্দী বিষয়টি তদন্তের জন্য সেখানে গেছেন বলেও জানা গেছে। তবে এব্যাপারে সর্বশেষ খবর আর জানা যায়নি।