হিল ভয়েস, ২৪ জুলাই ২০২৩, বিশেষ প্রতিবেদক: একই দিনে এবং একদিনের ব্যবধানে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কোটা সাক্ষাৎকারের (ভাইভা) তারিখ নির্ধারণ করার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু কোটাপ্রার্থী আদিবাসী শিক্ষার্থীরা জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দুরত্ব বেশি হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীরা এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এজন্য তারা এর প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে স্মারকলিপিও দিয়েছেন।
আজ ২৪ জুলাই ২০২৩ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আদিবাসী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা এসমস্যাটি তুলে ধরে এর সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জিএসটি-গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপাচার্য, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট এবং জিএসটি-গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপাচার্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা এর বরাবরে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা উল্লেখ করেছেন- “আমরা গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আদিবাসী শিক্ষার্থী। মাননীয় উপাচার্য, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রশাসন কর্তৃক জারিকৃত কোটা সাক্ষাৎকারের নোটিশ থেকে আমরা অবগত হয়েছি, একই দিনে এবং একদিনের ব্যবধানে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কোটা সাক্ষাৎকারের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু কোটাপ্রার্থী শিক্ষার্থীরা জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান দূরত্ব বেশি হওয়ায় যাতায়াতের অসুবিধার কারণে একইদিনে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায়, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করতে না পারায় যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে, মেধাবী ও যোগ্য কোটাপ্রার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সাক্ষাৎকারের বিড়ম্বনা এড়াতে কোটা সাক্ষাৎকারের জটিল অবস্থা সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করছি।”
স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরকারী গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা হচ্ছেন- সুনন্দ চাকমা, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; সাগর ত্রিপুরা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; উ মং সিং মারমা, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; জাগরন চাকমা, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়; মিলন জ্যোতি চাকমা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়; সুই চিং মারমা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়; সৌরভ চাকমা, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; কংহ্লাউ মারমা, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; ইন্টু তালুকদার, বঙ্গবন্ধু মেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুভাষ তালুকদার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; তন্ময় ত্রিপুরা, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; রাফায়েল মুর্মু, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; তামিয়া চাকমা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়; শ্রাবণ চিছাম, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়; অং মারমা, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়; মানসি চাকমা, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; অংসাইয়ো মারমা, বঙ্গমাতা শেখ ফীজলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও জুনি চাকমা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়।