হিল ভয়েস, ২৭ জুলাই ২০২৩, রাঙ্গামাটি: আগামীকাল থেকে রাঙ্গামাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির ১১তম জাতীয় সম্মেলন।
জনসংহতি সমিতির সূত্রে জানা গেছে, রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউটে শুক্রবার (২৮ জুলাই) সকাল ১০:৩০ টায় জনসংহতি সমিতির ১১তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হবে। এই সম্মেলন ২৯ জুলাই পর্যন্ত চলবে।
সূত্রে আরো জানা গেছে যে, জনসংহতি সমিতির জেলা, থানা ও ইউনিয়ন শাখার প্রতিনিধি এবং সমিতির অঙ্গ সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতি, গিরিসুর শিল্পীগোষ্ঠী, পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের পর্যবেক্ষক মিলে প্রায় সাড়ে চারশত প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষক এই জাতীয় সম্মেলনে যোগদান করবেন।
গিরিসুর শিল্পীগোষ্ঠী কর্তৃক জাতীয় সঙ্গীত, দলীয় সঙ্গীতসহ গণসঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে এই সম্মেলন শুরু হবে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন মেঞোসিং মারমা।
এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন জনসংহতি সমিতির সহ সভাপতি ও সাবেক সাংসদ উষাতন তালুকদার এবং বক্তব্য রাখবেন এম এন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত উপ-সচিব প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা।
সূত্রে জানা গেছে যে, ২০১৫ সালে জনসংহতি সমিতির ১০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তিন বছর পর পর জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের বিধান অনুসারে ২০১৮ সালে ১১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়সূচি ছিল। কিন্তু বিরাজমান পরিস্থিতি ও বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারণে ৮ বছর পর সংগঠনের ১১তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশিষ্ট রাজনীতিক ও সমাজহিতৈষী বীরেন্দ্র কিশোর রোয়াজাকে সভাপতি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের জাতীয় জাগরণের অগ্রদূত ও তৎকালীন গণপরিষদের সদস্য মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাকে সাধারণ সম্পাদক করে জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।