হিল ভয়েস, ৩০ জুন ২০২৩, রাঙ্গামাটি: হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডাব্লিউএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) এক যৌথ বিবৃতিতে রাঙ্গামাটির লংগদুতে দুইজন সেটেলার বাঙালি কর্তৃক এক জুম্ম নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, কোরবানির ঈদে নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে গতকাল ২৯ জুন ২০২৩ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার লংগদু উপজেলার ১নং আটারকছড়া ইউনিয়নের ডানে আটারকছড়া বাঙালি পাড়ায় দুইজন সেটেলার বাঙালি মোঃ মনজুর (২৬) ও মোঃ রুবেল (২৬) কর্তৃক এক জুম্ম নারী(৩৫) ধর্ষণের শিকার হন।
এ ঘটনায় হিল উইমেন্স ফেডারেশনর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপন ত্রিপুরা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদসহ চিহ্নিত ধর্ষক মোঃ মনজুর ও মোঃ রুবেলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
নেতৃদ্বয় বলেন, ঘটনার দিন ভুক্তভোগী নারী তার দাদা—দাদী এবং মামাসহ তাদের গ্রামের পার্শ্ববর্তী ডানে আটারকছড়া বাঙালি পাড়ার মোঃ সিদ্দিক নামে একজনের বাড়িতে ঈদের দাওয়াত খেতে যায়। একই সময়ে উক্ত বাড়িতে আটারকছড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ মনজুর (২৬), পিতা: মোঃ কামাল এবং একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ রুবেল (২৬), পিতা: আব্বাস উপস্থিত হয়। তারা দুইজনই পেশায় মোটরসাইকেল চালক। এর কিছুক্ষণ পর ভুক্তভোগী নারী তার দাদা—দাদীর সাথে পায়ে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সাথে সাথে মোঃ মনজুর ও মোঃ রুবেল তাদের পিছনে পিছনে গিয়ে তাদের গতিরোধ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ভুক্তভোগীর দাদা—দাদীকে বাড়ির উদ্দেশে পাঠিয়ে দিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে এবং এরপর চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে দিয়ে অচেতন অবস্থায় ফেলে যায়। ভুক্তভোগীর দাদা—দাদী গ্রামে পৌঁছে আত্মীয় ও গ্রামবাসীদের ঘটনাটি জানালে তারা ওই নারীর খোঁজে বের হন এবং একপর্যায়ে ভুক্তভোগী নারীকে প্রায় অচেতন অবস্থায় খুঁজে পান।
নেতৃদ্বয় এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা রোধ ও জুম্ম নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণাঙ্গ ও যথাযথ বাস্তবায়নসহ অবিলম্বে চিহ্নিত ধর্ষক মোঃ মনজুর ও মোঃ রুবেল সহ বিগত ঘটনাগুলোর প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শান্তি প্রদানের জোর দাবি জানান।