হিল ভয়েস, ২১ জুন ২০২৩, রাঙামাটি: রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনীর টহল অভিযানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে কী কারণে এই টহল অভিযান তা এখনো জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুন ২০২৩, সকাল ৯ টার দিকে রাঙামাটির নান্যাচর উপজেলার ২নং নান্যাচর ইউনিয়নের সেনা জোন থেকে একজন মেজর ও একজন ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জনের একটি সেনাবাহিনীর টহল দল ছয়কুড়ি বিল পাড়ায় তল্পিতল্পা সহ টাবু টাঙিয়ে অবস্থান করেছে বলে জানা গেছে। সেনাবাহিনীর এই টহল দলটি আগামী ৪ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত উক্ত স্থানে অবস্থান করবে বলেও জানা যায়।
এদিকে গতকাল ২০ জুন ২০২৩, সকাল ১০ টার দিকে নান্যাচর সেনা জোন নিয়ন্ত্রিত ৫নং বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের খারিক্ষ্যং সেনা ক্যাম্প থেকে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি সেনা দল কান্দব ছড়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসে। এরপর বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকায় বিকাল ৩ টার দিকে ক্যাম্পে ফিরে চলে যায় বলে খবর পাওয়া গেছে ।
অন্যদিকে, একইদিন ১৯ জুন ২০২৩, সকাল ১০:৩০ কার দিকে সুবলং সেনা ক্যাম্প ও রাঙামাটি সেনা জোন হতে যৌথভাবে দুটি ট্রলার যোগে ৬০-৭০ জনের আরেকটি সেনাবাহিনীর টহল দল বালুখালী ইউনিয়নের বসন্ত নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসার কথা থাকলেও পরে বালুখালী ইউনিয়ন পরিষদের ভাঙ্গা বিল্ডিং এ অবস্থান করে ।
তারপর গতকাল ২০ জুন সকাল ৯:৩০ টার দিকে উক্ত সেনাবাহিনীর টহল দল হতে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সেনা টহল দল কাইন্দ্যা মূখ পাড়ায় আসে। সেখানে অবস্থানের পর বেলা ২ টার দিকে টহল দলটি ভাঙ্গা বিল্ডিং-এ ফিরে যায় বলে জানা যায়।
এদিকে গতকাল ২০ জুন ২০২৩, জীবতলী ইউনিয়নের গবঘোন সেনা ক্যাম্প ও কাপ্তাই সেনা জোন হতে যৌথভাবে ৫০ থেকে ৬০ জনের আরো একটি সেনা টহল দল জীবতলী ইউনিয়নের রেংক্ষ্যং বাজার এলাকায় অবস্থান করেছে বলেও জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী বলেন, সেনাবাহিনীর নাকের ডগায় ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ও সংস্কারপন্থী সন্ত্রাসীরা ঘোরাফেরা করছে এবং নিয়মিত জোরপূর্বক চাঁদা তুলছে। কিন্তু সেনাবাহিনী সেসব দেখেও না দেখার ভান করছে। অথচ জনসংহতি সমিতির পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সাথে যুক্ত কর্মী ও সমর্থকদের নানাভাবে নিপীড়ন ও হয়রানি করছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী নিজেরাই সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করে এবং একের পর এক অভিযান চালিয়ে নিরীহ জনগণের মধ্যে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে।