হিল ভয়েস, ১৭ জুন ২০২৩, রাঙামাটি: রাঙামাটির সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের মরিচ্যা বিল সেনা ক্যাম্প ও জীবতলি ইউনিয়নের গবঘোনা সেনা ক্যাম্প থেকে মোট ৪৮ জনের একটি সেনা দল মগবান ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গরগজ্যাছড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর মহড়া ও টহল অভিযানে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানান, গত ১৪ জুন ২০২৩, বিকাল ৩ টার দিকে বালুখালী ইউনিয়নের মরিচ্যা বিল সেনা ক্যাম্প হতে সুবেদার রিয়াজ এর নের্তৃত্বে ২০ জনের একটি সেনা দল মগবান ইউনিয়নের ৩ নং ওর্য়াডের গরগজ্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসে। একই দিনে বিকাল ৫ টার দিকে জীবতলী ইউনিয়নের গবঘোনা সেনা ক্যাম্প হতে ট্রলার যোগে ২৮ জনের আরও একটি সেনা দল উক্ত সেনা দলের সাথে যোগ দেয়। সেখানে একত্র হয়ে সেনাবাহিনীর দুটি দলই গরগজ্যাছড়ি বিদ্যালয়ে রাত যাপন করে।এতে স্থানীয় এলাকাবাসীদের জনমনে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান সূত্রটি।
তবে পরদিন ১৫ জুন ২০২৩, সেনাবাহিনীর দুটি দলই স্ব স্ব ক্যাম্পে ফিরে যায় বলে জানা গেছে।
অপরদিকে, গতকাল ১৬ জুন ২০২৩, সকাল ১১ কার দিকে মরিচ্যা বিল সেনা ক্যাম্প হতে সুবেদার রিয়াজ এর নের্তৃত্বে আবারও ২০ জনের একটি সেনাবাহিনীর টহল দল কাইন্দ্যা ব্রিজে এসে পৌঁছায়। বৃষ্টির কারণে ব্রিজের আশেপাশের দোকানে অবস্থান করে সেনা সদস্যরা। বৃষ্টি থামানোর পর আনুমানিক ২ টার দিকে কাইন্দ্যা সাগরবান্দা নামক স্থানে যায়। তারপর বিকাল ৫ টার দিকে এগজ্যাছড়ি-দুত্তাং হইয়া পাংখোংয়া পাড়া সেনা ক্যাম্পের উদ্দেশ্য রওনা দেয় উক্ত টহল দলটি।
এসময় এগজ্যাছড়ি পাড়া থেকে উদয়ন চাকমার ছেলে বিনয় কান্তি চাকমাকে (৩২) সঙ্গে নিয়ে যায়। তবে টহল দলটি দুত্তাং পৌঁছলে বিনয় কান্তি চাকমাকে ছেড়ে দেয় বলে জানা যায়।
এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত সেনাবাহিনীর টহল দলটি পাংখোয়া পাড়া সেনা ক্যাম্পে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর এই ধরনের অভিযানে বরাবরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকির সম্মুখীন হয় নিরীহ ও সাধারণ জুম্ম জনগণ। এসময় সাধারণ জুম্মরা প্রায়ই নানা হয়রানি, নিপীড়ন, আটক, জিজ্ঞাসাবাদ ইত্যাদির সম্মুখীন হয়। ফলে গ্রামে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়।