হিল ভয়েস, ২৯ জুন ২০২৩, কক্সবাজার: কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত ছোট মহেশখালীর মুদিরছড়া রাখাইন পাড়ায় রাখাইনদের প্রায় তিনশত বছরের পুরনো একটি শশ্মানভূমি দখল নিতে উঠেপড়ে লেগেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল।
স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজনের মাধ্যমে জানা যায়, সরকারি ১নং খাস খতিয়ান অনুযায়ী (আর,এস দাগ নং- ৩৪২৫) রাখাইন সম্প্রদায়ের শশ্মানভূমি হিসেবে ব্যবহৃত এই জমিটির পরিমাণ ১ একক ৯৪ শতক। খাস জমিটির বি,এস দাগ নং- ২৫০৯। শত শত বছর ধরে এই জমিটি স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান সম্পাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি রাখাইনদের একটি সামাজিক সম্পত্তি। জমিটি কোনকালে কোন ব্যক্তিগত দখলের অধীনে ছিল না।
কিন্তু সম্প্রতি আদিবাসী রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজনদের নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে জমিটি দখল করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। রাখাইনদের ব্যবহৃত এই শশ্মানভূমির জমিটি দখল মুক্ত করে স্থানীয় রাখাইনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ।
উপজেলা ভূমি অফিস, মহেশখালী, কক্সবাজার কর্তৃক বিগত ১১/১২/২০০১ ইং তারিখে ইস্যুকৃত স্মারক নং-১০০৭/এস,এ বন্দোবস্তি মামলা নং-৬১৪/৯০-৯১ সালের উপজেলা ভূমি অফিসে প্রতিবেদন অনুযায়ী উল্লেখ আছে বি,এস ২৫০৯নং দাগ ও ২৬৩৭ নং দাগের অন্যান্য জমি স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায়ের সার্বজনীন শ্মশান ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান সম্পাদনের স্থান হিসেবে ব্যবহৃত এর আশেপাশে প্রায় ৩২টি পরিবার বসবাস করছে।
বিগত ২০২২ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিক থেকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল জমিটি দখল করার জন্য নানান ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। “জমিটি মূলত রাখাইন সম্প্রদায়ের সামাজিক সম্পত্তি। এটি সাধারণত ধর্মীয় এবং সামাজিক কাজে ব্যবহার করা হয়।
জমিটি দখলমুক্ত করার জন্য স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায় বারবার স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং প্রশাসনের নিকট আবেদন জানিয়ে আসছে। কিন্তু আশ্বাস দেওয়ার পরেও স্থানীয় প্রভাবশালী মহল কর্তৃক রাখাইনদের এই পবিত্র শশ্মানভূমি দখলের অপচেষ্টা থেমে নেই।”
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক মংথেনহ্লা রাখাইন স্থানীয় রাখাইনদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অতি শীঘ্রই রাখাইনদের শশ্মানভূমি তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।