হিল ভয়েস, ১৪ মে ২০২৩, রাঙামাটি: রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলাধীন সুবলং বাজারে চাঁদা উত্তোলন নিয়ে সেনামদদপুষ্ট ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ও সেটেলার বাঙালিদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও দ্বন্দ্ব এবং এক পর্যায়ে মারামারি হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পরে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় তা সমাধান হয়েছে বলে জানা যায়।
গত ১২ মে ২০২৩ শুক্রবার সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সুবলং সেনা ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর নাকের ডগায় প্রকাশ্য দিবালোকে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সন্ত্রাসীরা কাপ্তাই হ্রদ এলাকায় অবস্থিত সুবলং বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই সাধারণ জনগণের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা উত্তোলন করে আসছে। গত ১২ মে সুবলং বাজারে গণতান্ত্রিক (ইউপিডিএফ) ও বরুণাছড়ি এলাকা থেকে আসা কয়েকজন সেটেলার বাঙালি মালামাল বিক্রেতার মধ্যে চাঁদা উত্তোলন নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে গণতান্ত্রিক (ইউপিডিএফ) এর এক সদস্য জনৈক সেটেলারকে লাঠি মেরে গণতান্ত্রিক (ইউপিডিএফ) সদস্যরা সেখান থেকে চলে যায়। এরপর সেটেলার বাঙালিরা জড়ো হতে থাকে এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করে।
বিষয়টির ব্যাপারে খবর পেলে সেনাবাহিনীর একদল সদস্য ঘটনাস্থলে আসে এবং সেখান থেকে ৫ জন সেটেলার বাঙালিকে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, করকুটি ছড়ি থেকে কয়েকজন সেটেলার বাঙালি লিচু ব্যবসায়ী রাঙামাটি শহরে লিচু নেওয়ার সময় সুবলং বাজারে প্রতি টুকরি ২০০ টাকা করে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সদস্যদের দেবে বলে ঠিক হয়। কিন্তু পরে সেটেলারদের পক্ষ থেকে কয়েকজন দিতে নারাজ হলে লিচু ব্যবসায়ী সেটেলার বাঙালি ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সদস্যদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও মারামারি হয়। এক পর্যায়ে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সদস্যরা ৫ জন সেটেলার বাঙালিকে ধরে সুবলং আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে ৩ জন ছেড়ে দেয়া হয় এবং ২ জনকে ক্যাম্পে আটক রাখা হয়।
তিনি আরও জানান, একই দিন আরেকটা ঘটনায় চাঁদা উত্তোলন নিয়ে বনিবনা না হওয়ার কারণে সেটেলার বাঙালি গরু ব্যবসায়ী ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সদস্যদের প্রথমে বাকবিতন্ডা ও পরে হাতাহাতি হয়। তবে এক পর্যায়ে সুবলং সেনা ক্যাম্পের কম্যান্ডার উভয় পক্ষকে ডেকে মীমাংসা করে দেন।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে সেনাবাহিনীই সেনা এসকর্ট ও নিজস্ব যানবাহন দিয়ে খাগড়াছড়ি এলাকা থেকে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ও সংস্কারপন্থী সন্ত্রাসীদের যৌথ একটি দল রাঙামাটির গুরুত্বপূর্ণ সুবলং বাজারে নিয়ে আসে। আসার পর থেকে তারা সুবলং সেনা ক্যাম্পের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এবং প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সুবলং বাজারে ও নৌঘাটে আসা বিভিন্ন এলাকার সাধারণ জনগণের কাছ থেকে চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।
আরো পড়ুন
https://hillvoice.net/bn/%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%81%e0%a6%a6%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%9c%e0%a6%bf%e0%a6%b0-%e0%a6%85%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%a5-%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%ad%e0%a6%be%e0%a6%97%e0%a6%bf/