হিল ভয়েস, ২৫ মে ২০২৩, কুমিল্লা: কুমিল্লার দেবিদ্বারে সংখ্যালঘু পরিবারে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী পরিমল সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩, দুপুরে ভুক্তভোগী পরিমল সরকার বাদী হয়ে উক্ত মামলাটি করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী কাজী এনামুল হক নিজাম।
জানা যায়, গত ২০মে দেবিদ্বার উপজেলার চান্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একই সময়ে সমাবেশ আহ্বান করে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। তখন ঘটনাস্থলের পাশে পরিমল সরকারের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসময় একটি টিনের আধপাকা ঘর ও ঘরের মধ্যে থাকা টিভি, স্যোকেস, ফার্ণিচার ভাঙচুরসহ স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
আসামিরা হলেন– দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদ (৫০), তাঁর ছোট ভাই আক্তারুজ্জামান (৪০), কাজী বিল্লাল (৩২), কাজী হেলাল (৩০), জয়দল হোসেন (৩৮), শাহিন ইসলাম (২৫), জহিরুল ইসলাম (৪৫), দিদারুল আলম ফয়েজ (২৬), মো. গাফফার (৩৫) ও মো. মামুন (২৬)।
ভুক্তভোগী পরিমল সরকার বলেন, ’আমি এমনেতেই সংখ্যালঘু মানুষ। আমাকে যেখানে পাবে হত্যা করবে বলে গেছে উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা। আমি এই দেশে জীবিত থাকতে পারবো কি-না জানি না।আমি থানায় অভিযোগ দিলে ওরা আবার আমার উপর হামলা করবে বলেও হুমকি দিয়েছে।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি স্কুলমাঠে ছিলাম, উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করে থাকতে পারে। কারা হামলা করেছে, তা জানা নেই।’
আইনজীবী কাজী এনামুল হক নিজাম জানান, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে এক মাসের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।