হিল ভয়েস, ৮ এপ্রিল ২০২৩, রাঙামাটি: সম্প্রতি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক রাঙামাটি জেলাধীন বিলাইছড়ি উপজেলার বিলাইছড়ি সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন জুম্ম গ্রামে বাড়িঘরে ব্যাপক তল্লাসি ও গ্রামবাসীকে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল ২০২৩ বিলাইছড়ি সদরের দীঘলছড়ি সেনা জোনের কম্যান্ডিং অফিসার (সিও) লেঃ কর্নেল মোঃ আহসান হাবিব নাসিম পিপিএম, পিএসসি ও টুআইসি মেজর ডাঃ রেজার নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর ৩২বীর এর ৭০/৭৫ জনের একটি সেনাদল পাংখোয়া জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত মালুম্যা পাংখো পাড়া এবং তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত মালুম্যা তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় তল্লাসি অভিযান চালায়। এসময় সেনা সদস্যরা উক্ত দুই গ্রামের প্রতিটি ঘরে তল্লাসি অভিযান চালায় এবং বাড়ির লোকদের অবৈধ অস্ত্র আছে কিনা, কে কি কাজ করে, কোথায় থাকে ইত্যাদি নানা প্রশ্ন করে ও নানা কথাবার্তা বলে হয়রানি করে। ঐদিন সারারাত সেনা সদস্যরা গ্রামসমূহে অবস্থান করে এবং গ্রামের চারিদিকে ঘোরাফেরা করে। এসময় বিশেষ করে নারী ও শিশুসহ গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত বোধ করে। পরদিন (৫ এপ্রিল) সকাল ৯টা/১০টার দিকে সেনাবাহিনী সেখান থেকে সেনা ক্যাম্পে চলে যায় বলে জানা গেছে।
অপরদিকে, গত ২২ মার্চ ২০২৩, রাত ১টার দিকে দীঘলছড়ি সেনা জোনের জনৈক ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর ৩২ বীর এর ৩৫ জনের একটি সেনাদল পার্শ্ববর্তী কুতুবদিয়া এলাকার জুম্ম গ্রামে টহল অভিযানে যায়। এসময় সেনা সদস্যরা দুই তঞ্চঙ্গ্যা গ্রামবাসীর বাড়ি ঘেরাও করে বাড়িতে তল্লাসি চালায় এবং ‘গ্রামে সন্ত্রাসী আসে কিনা, তারা সন্ত্রাসীর সাথে যোগসাজস করে চাঁদা আদায় করে কিনা ইত্যাদি’ নানা জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে ও ভয় দেখিয়ে গ্রামবাসীদের হয়রানি করে।
ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা হলেন- (১) লাসিং তঞ্চঙ্গ্যা (৪০), পীং-রাঙ্গাচান তঞ্চঙ্গ্যা ও (২) মঙ্গল সেন তঞ্চঙ্গ্যা, পীং-নিরাঙ্গ তঞ্চঙ্গ্যা।