হিল ভয়েস, ২৫ এপ্রিল ২০২৩, বিশেষ প্রতিবেদক: আদিবাসী জনগণের অকৃত্রিম বন্ধু, বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি জননেতা পঙ্কজ ভট্টাচার্যের প্রয়াণে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বিবৃতি দিয়ে, তাঁর অসংখ্য গুণগ্রাহী মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর পরিবার-পরিজনদের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানিয়েছেন।
প্রয়াতের দল ঐক্য ন্যাপের উদ্যোগে আজ (২৫ এপ্রিল ২০২৩) বিকেল ৪টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রয়াত পঙ্কজ ভট্টাচার্যের প্রতি নাগরিক শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। গতকাল ঐক্য ন্যাপের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রয়াতের পরিবারের পক্ষ থেকে বহ্নিশিখা দাশ পুরকায়স্থ বলেছেন, পংকজ ভট্টাচার্যের মরদেহ রাজধানীর শরমিতা হাসপাতালে হিমঘরে রাখা হয়েছে। আজ শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তাঁর মরদেহ রাজধানীর পোস্তাগোলা মহাশ্মশানে নেওয়া হবে। সেখানে প্রয়াতের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল (২৪ এপ্রিল ২০২৩) সোমবার ভোররাত ১২:২৮ টায় নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে ঢাকার হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন পংকজ ভট্টাচার্য। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর ৬ মাস।
জনসংহতি সমিতির শোক
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রয়াত জননেতা পঙ্কজ ভট্টাচার্যকে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের অকৃত্রিম বন্ধু, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নসহ আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নির্ভরযোগ্য ও পরীক্ষিত সহযোদ্ধা এবং বাংলাদেশের বিপ্লবী, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা’ অভিহিত করে তাঁর প্রয়াণে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছে এবং জুম্ম জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাঁর অবদান ও অনুপ্রেরণার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেছে। একই সাথে প্রয়াত এই মহান ব্যক্তির শোকসন্তপ্ত পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রতিও জনসংহতি সমিতি জ্ঞাপন করছে গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা।
সমিতির সহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘তিনি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের মহান নেতা, বিপ্লবী, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সাংসদ মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ঘনিষ্ট বন্ধু ও সংগ্রামী সহযোদ্ধা এবং বহু সংগ্রামী ঘটনাবলীর প্রত্যক্ষ সাক্ষী।
তিনি শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণ নয়, যুগপৎভাবে সমতলের আদিবাসী জাতিসমূহের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনেরও বিশ^স্ত এক বন্ধু এবং বলিষ্ট কন্ঠস্বর। পাহাড়ে কিংবা সমতলে যেখানেই আদিবাসীরা তাদের সংকটে ও উৎসবে ডেকেছেন সেখানে তিনি তাঁর বাধ্যক্যকে উপেক্ষা করে পরম ভালোবাসায় ছুটে গিয়েছেন। তাঁর প্রয়াত স্ত্রী নারী নেত্রী রাখী দাশ পুরকায়স্থ নিজেও ছিলেন পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীদের অন্যতম পরম বন্ধু। পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণসহ দেশের আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাঁর ও তাঁর পরিবারের অবদান চির ভাস্বর ও চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
আদিবাসী ফোরামের শোক বার্তা
গতকাল বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং স্বাক্ষরিত এক শোক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘আমরা গভীর দুঃখ ও বেদনার সহিত জানাচ্ছি যে, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ পঙ্কজ ভট্টাচার্য রোববার দিবাগত রাতে রাজধানীর পান্থ পথে হেল্থ এন্ড হেল্প হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের পক্ষ থেকে গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। তাঁর পরিবারের সকল সদস্য ও স্বজনদের প্রতি জানাচ্ছি সমবেদনা আর সহমর্মিতা।’
শোক বার্তায় আরও বলা হয়, ‘শোক বার্তায় আরো বলা হয়, মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে পঙ্কজ ভট্টাচার্য ছিলেন অবিচল ও নিবেদিত প্রাণ। আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি এতটাই আন্তরিক ও নিবেদিন প্রাণ ছিলেন যে, দেশের প্রত্যন্ত আদিবাসী অঞ্চলে গিয়ে বহুবার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম, মধুপুর বন, খাসিয়াদের পুঞ্জি, গারো পাহাড় অঞ্চল, গাজীপুর, পটুয়াখালী-বরগুনা, উত্তরবঙ্গের আদিবাসী গ্রাম, চা বাগানের শ্রমিকদের সমাবেশ- সবখানে তিনি মানুষের পাশে স্বশরীরে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর ভরাট কন্ঠের বক্তৃতা আদিবাসী জনগণকে অধিকার আদায়ের আন্দোলন ও সংগ্রামে উদ্দীপ্ত করে তুলতো। তিনি ছিলেন চিরবঞ্চিত আদিবাসী মানুষের সংগ্রামে শক্তি ও প্রেরণার উৎস। বহু আদিবাসী মানুষ তাঁকে সরাসরি ফোন করতেন আর তিনি সাধ্যমত তাদের পাশে দাঁড়াতেন। এমন আদিবাসী-বান্ধব আর দরদী মানুষ সহসা আর আসবে না।’
সিপিবি’র শোক
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স গতকাল এক বিবৃতিতে দলের পক্ষ থেকে প্রয়াত বরেণ্য জননেতা পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং প্রয়াতের শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, মানুষের অধিকার আদায়ে পঙ্কজ ভট্টাচার্যের সংগ্রাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে এবং অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে উল্লেখ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয় ‘তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের একজন স্বপ্নদ্রষ্টা এবং আমৃত্যু তিনি সেজন্য লড়াই করে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে দ্বিদলীয় ধারার বাইরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা, মানুষের অধিকার আদায়ে তাঁর সংগ্রাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে, অনুপ্রেরণা যোগাবে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘পঙ্কজ ভট্টাচার্য ছিলেন মনে-প্রাণে বিশুদ্ধ রাজনীতিক। তিনি দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, সংখ্যালঘু, আদিবাসী, নারী-শিশু নিপীড়নের বিরুদ্ধে সবর্দা সোচ্চার প্রতিবাদ গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। অসাম্প্রদায়িক, সমতাভিত্তিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নদ্রষ্টা পঙ্কজ ভট্টাচার্য নিজ বিশ্বাস ও আস্থায় অবিচল থেকে সারাদেশের মানুষকে সংগঠিত করার কাজে আজীবন নিবেদিত ছিলেন।’
ঐক্য পরিষদের শোক
গতকাল বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের দপ্তর সম্পাদক মিহির রঞ্জন হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য শ্রী পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি।’
শোক বিবৃতিতে বলা হয়, আজন্ম ত্যাগী, নিলোভী রাজনীতিবিদ শ্রী পঙ্কজ ভট্টাচার্যের মৃত্যু জাতির এক অপূরণীয় ক্ষতি, যা সহজে পূরণ কবার নয়।
বিবৃতিতে ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ তাঁর বিদেহী আত্মার সদগতি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
কাপেং ফাউন্ডেশনের শোক বার্তা
একইদিন মানবাধিকার সংগঠন কাপেং ফাউন্ডেশন গণমানুষের অধিকার আদায়ের কন্ঠস্বর প্রবীণ রাজনীতিবিদ পঙ্কজ ভট্টচার্যের প্রয়াণে শোক বার্তা দিয়েছে।
সংগঠনের চেয়ারপারসন রবীন্দ্রনাথ সরেন স্বাক্ষরিত এই শোক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘কাপেং ফাউন্ডেশন অত্যন্ত বেদনার সাথে জানাচ্ছে যে, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রবীণ নেতা, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ পঙ্কজ ভট্টাচার্য রোববার দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে কাপেং ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। শোক সন্তপ্ত পরিবার ও স্বজনদের প্রতি রইল সমবেদনা ও সহমর্মিতা।’
শোক বার্তায় আরও বলা হয়, ‘মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক পঙ্কজ ভট্টাচার্য ছিলেন একজন অসাম্প্রদায়িক। আমৃত্যু তিনি আদিবাসীসহ প্রান্তিক মানুষের কন্ঠস্বর হয়েছিলেন। আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন একজন নিবেদিত প্রাণ। যেখানেই আদিবাসীদের অধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটেছে, সেখানেই আদিবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন সময়েও ছুটে বেড়িয়েছেন। আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে তাঁর মত ভাববার মত মানুষের অভাব আমরা সবসময় অনুভব করব। তাঁর মৃত্যুতে আদিবাসীদের অপূরণীয় ক্ষতি হলো।’
উল্লেখ্য, পঙ্কজ ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৩৯ সালের ৬ আগস্ট চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়া গ্রামে এক শিক্ষিত, প্রগতিশীল, সংগ্রামী ও মধ্যবিত্ত পরিবারে। এই নোয়াপাড়া গ্রাম ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের মহানায়ক মাস্টারদা সূর্যসেনসহ বহু সংগ্রামীর ঐতিহ্যবাহী গ্রাম। তাঁর পিতা প্রফুল্ল কুমার ভট্টাচার্য ছিলেন উচ্চশিক্ষিত ও প্রগতিমনা স্কুলশিক্ষক, আর মা মনিকুন্তলা দেবীও ছিলেন তৎকালীন সমাজে মহিয়সী এক নারী। তাঁর পিতামহ রমেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য ছিলেন চট্টগ্রামের একজন প্রসিদ্ধ আইনজীবী ও সমাজ সংস্কারক।
তিনি চট্টগ্রামের কলেজিয়েট স্কুলে তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শুরু করেন। এরপর মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল ও চট্টগ্রাম কলেজে পড়াশোনা করেন। চট্টগ্রাম কলেজে পড়ার সময়ে ১৯৫৮ হতে ১৯৬০ পর্যন্ত তিনি এম এন লারমার সহপাঠী ছিলেন এবং উভয়ে ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬০ সালে পাকিস্তান আমলে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই ১৯৬২ সালে তৎকালীন শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। এক পর্যায়ে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৬৩-৬৪ সালে ছাত্র ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন সময়ে সামরিক শাসন বিরোধী ‘ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকার কারণে স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের সরকার ১৯৬৭ সালে তাঁকে ‘স্বাধীন বাংলা ষড়যন্ত্র মামলা’ জড়িত করে কারারুদ্ধ করে। একই বছর তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দিয়ে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যূত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালে তিনি বিভিন্ন বাম দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে গেরিলা বাহিনী গঠন করে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭২ সালে তরুণ বয়সে তিনি তৎকালীন সময়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ এর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন। স্বৈরাচারী এরশাদের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এরশাদের পতনের পরও দেশে প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক আদর্শের রাজনীতি ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকল্পে তিনি অক্লান্তভাবে নানা উদ্যোগ ও ভূমিকা গ্রহণ করেন। এসময়ে তিনি ‘সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন’, গণফোরাম, গণঐক্য গঠন করে দেশে প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। জরুরি অবস্থার পরবর্তীকালে ২০১৩ তিনি ঐক্য ন্যাপ প্রতিষ্ঠা করেন এবং মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত এই দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।