হিল ভয়েস, ৩ মার্চ ২০২৩, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি জেলাধীন বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নে রাঙ্গামাটি-জুরাছড়ি জলপথে এক মুসলিম বাঙালি বোট চালক কর্তৃক এক আদিবাসী চাকমা নারী (২৫) ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ ৩ মার্চ ২০২৩ সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে জুরাছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী ‘স্বাগতম জুরাছড়ি’ নামক স্থানের নিকটবর্তী সুবলং ইউনিয়নের মাইচছড়ি গ্রামে এই ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে।
ধর্ষণের চেষ্টাকারী বোট চালকের নাম আবদুল মালেক (৫৫), পীং-বাচা মিয়া, ঠিকানা-রিজার্ভ বাজার, রাঙ্গামাটি বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আবদুল মালেক রাঙ্গামাটি-জুরাছড়ি জলপথে যাত্রীবাহী বোটের একজন নিয়মিত চালক। প্রায় প্রতিদিন সে বোট ও যাত্রী নিয়ে রাঙ্গামাটি-জুরাছড়ি জলপথে আসা-যাওয়া করে থাকে। সম্প্রতি হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ার ফলে বোটটি সুবলং-জুরাছড়ি সীমান্তবর্তী ‘স্বাগতম জুরাছড়ি’ নামক স্থানে অবস্থান করে। ঐ স্থানের পাশেই একটি চাকমা পরিবার বসবাস করে।
আজ ওই চাকমা পরিবারের গৃহবধুর স্বামী সুবলং বাজারে যাওয়ায় গৃহবধুটি একাই বাড়িতে অবস্থান করছিল। এমন সময় ‘স্বাগতম জুরাছড়ি’ নামক স্থানে বোট নিয়ে আসা চালক আবদুল মালেক চাকমা গৃহবধুটির ঘরে গিয়ে পানি চায়। এসময় বোট চালক আবদুল মালেক গৃহবধুটিকে একা পেয়ে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। গৃহবধুটি আবদুল মালেকের সাথে ধস্তাধস্তি করে কোনোমতে নিজেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয় এবং চিৎকার করতে করতে অন্যত্র পালিয়ে যায়।
অপরদিকে, গৃহবধুটির চিৎকারে ভয় পেয়ে বোট চালক আবদুল মালেক দ্রুত পালিয়ে গিয়ে ‘স্বাগতম জুরাছড়ি’র নিকটবর্তী অস্থায়ী সেনা চেকপোস্টে আশ্রয় গ্রহণ করে। উক্ত চেকপোস্টটি ভিজা কিজিং সেনা ক্যাম্পের অধীন একটি চেকপোস্ট।
এর কিছুক্ষণ পর ভিজা কিজিং সেনা ক্যাম্পের কম্যান্ডার স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ডেকে ঘটনার বিচার করতে বলেন। কিন্তু সেনা ক্যাম্পের কম্যান্ডার নিজে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার বা আটক করেননি।
পরে ওই অভিযুক্ত বোট চালক আবদুল মালেক রাঙ্গামাটিতে বাড়িতে চলে গেছে বলে খবর পাওয়া যায়।