হিল ভয়েস, ২৫ মার্চ ২০২৩, খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির রামগড়ের পাতাছড়া এলাকায় দুই সেটলার মোটর সাইকেল চালক কর্তৃক ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া আরেকজন আদিবাসী জুম্ম স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) মো: শাহীন আলম ও মো: আলী দুইজন মুসলিম বাঙালি সেটেলার এই ধর্ষণের ঘটনা সংঘটিত করেছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ এখনো অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি।
এ নিয়ে গত ১০ই ফেব্রুয়ারি থেকে দেড় মাসের মধ্যে ৭ জন আদিবাসী জুম্ম নারী ও শিশু হত্যা ও যৌন সহিংসতার শিকার হলো।
৭টি ঘটনার মধ্যে মাত্র একটি ঘটনায় একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ৬টি ঘটনায় জড়িত ৯ জন ব্যক্তি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এ যাবত জুম্ম নারী ও শিশুর ওপর যত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার কোনটিরই সুষ্ঠু বিচার হয়নি। এই বিচারহীনতার কারণে অপরাধীরা পার পেয়ে বার বার এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। ফলে জুম্ম নারীরা আজ চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে চলাফেরা করতে বাধ্য হচ্ছে।
বস্তুত ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশেষ শাসনব্যবস্থা কায়েম, ভূমি সমস্যার সমাধান, অস্থানীয়দের নিকট সকল ভূমি ইজারা বাতিল, সকল অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার পূর্বক পার্বত্য চট্টগ্রামের বেসামরিকীকরণ, সেটেলারদেরকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সম্মানজনক পুনর্বাসন ইত্যাদি মৌলিক বিষয়গুলো যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হলে জুম্ম নারীর উপর সহিংসতা অনেকাংশে কমে আসবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন অনেক মানবাধিকার কর্মী।