হিল ভয়েস, ৬ মার্চ ২০২৩, রাঙ্গামাটি: গতকাল ৫ মার্চ ২০২৩ রাতে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন সদর উপজেলার বন্দুকভাঙা ইউনিয়নের বাসিন্দা এক জুম্ম নারী বেসরকারী সংস্থার (এনজিও) কর্মকর্তা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া এলাকায় বাঙালি দূর্বৃত্ত কর্তৃক খুনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী নারীর নাম চম্পা চাকমা (২৬), পীং-শান্তিময় চাকমা, গ্রাম-ছাক্রাছড়ি, ২নং ওয়ার্ড, বন্দুকভাঙা ইউনিয়ন। তিনি বেসরকারী সংস্থা ‘পদক্ষেপ’-এ রাঙ্গুনিয়ার হোসনাবাদ শাখায় সহকারী ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।
মোঃ এনামুল হক এনাম (২৬) নামের এক রাঙ্গুনিয়ার ঋণগ্রহীতা এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মোঃ এনামুল হক এনামের বাড়ি উত্তর পারুয়া এলাকার পশ্চিম পাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম মোঃ নুরুজ্জমা, মাতার নাম জাহেদা বেগম।
জানা গেছে, গতকাল রাত আনুমানিক ৮:৩০ টার দিকে নিজ কার্যালয়ের সামনে চম্পা চাকমা অভিযুক্ত মোঃ এনামুল হক এনাম কর্তৃক গলায় ছুরিকাহত হয়ে মারাত্মকভাবে জখম হন। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কর্তব্যরত ডাক্তার চম্পা চাকমাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় পুলিশের ভাষ্য অনুসারে জানা গেছে, মাস দুয়েক আগে মোঃ এনামুল হক এনাম তার এক বোনের মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থা পদক্ষেপ থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নেন। ঋণের বিপরীতে নির্দিষ্ট সময়ে মাসিক কিস্তি পরিশোধ না করায় সম্প্রতি এনামের সঙ্গে চম্পা চাকমার কথা কাটাকাটি হয়।
জানা গেছে, গতকাল রাত ৮:৩০ টার দিকে রাঙ্গুনিয়ার লালানগরের ধামাইরহাটে পদক্ষেপ কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর অভিযুক্ত এনামের দেখা পান। ধারণা করা হচ্ছে, এনাম সেখানে পরিকল্পনা অনুসারেই চম্পা চাকমার জন্য অপেক্ষা করছিল। এসময় উভয়ের মধ্যে আরেক দফা কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে এনাম একটি ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি চম্পা চাকমার গলায় আঘাত করে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মিল্কি বলেন, ‘ছুরি দিয়ে চম্পার গলায় আঘাত করেন এনাম। ক্ষত খুব বেশি বড় না হলেও তার শ্বাসনালী কেটে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযুক্ত খুনীকে গ্রেপ্তার এবং ঘটনার বিষয়ে মামলা হওয়ার খবর জানা যায়নি।