হিল ভয়েস, ৬ মার্চ ২০২৩, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সেনাবাহিনী টহল অভিযান চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে সেনাবাহিনী রাঙ্গামাটির ন্যান্যাচর উপজেলায় ১টি এবং বিলাইছড়ি উপজেলায় ১টি নতুন ক্যাম্প স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, গত ৩ মার্চ ২০২৩ বিলাইছড়ির ফারুয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত ধূপশীল ক্যাম্প ও ফারুয়া ক্যাম্পের ৩২ বীর রেজিমেন্টের জনৈক দুই সু্বাদারের নেতৃত্বে ২২ জন করে দুইটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সেনাবাহিনী ফারুয়া ইউনিয়নের লতা পাহাড় এলাকায় টহল অভিযান চালায়।
এ সময় দুইদিন ধরে পাংখো পাড়া ও মারমা পাড়ায় টহল প্রদান করে সেনা সদস্যরা। দুই গ্রামের জুম্ম গ্রামবাসীদেরকে ডেকে ধূপশীল ক্যাম্পের সুবেদার নির্দেশ দিয়েছে যে, গ্রামে সন্ত্রাসী আসলে অবশ্যই ধূপশীল ক্যাম্পে খবর দিতে হবে। অন্যথায় গ্রামবাসীদেরকে সমস্যার মুখোমুখী হতে হবে বলে হুমকি দেয় সেনা সদস্যরা।
এদিকে একই সময় ফারুয়া ইউনিয়নের মেরাংছড়া সেনা ক্যাম্প হতে জনৈক হাবিলদার মেজরের নেতৃত্বে ৩২ বীর রেজিমেন্টের ১২ জনের একদল সেনা সদস্য ফারুয়া ইউনিয়নের নাড়াইছড়ির ভরোত্তছড়া মুখের উপর এলাকায় টহল অভিযান চালায়।
এসময় সেনা সদস্যরা মৃত মহেশ চন্দ্র চাকমার বন্দোবস্তিকৃত টিলা ভূমি পরিদর্শন করে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি-পূর্ব সময়ে ঐ স্থানে একটি এপিবিএন ক্যাম্প ছিল। চুক্তির পরে উক্ত ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়। প্রত্যাহৃত ক্যাম্পের উক্ত জায়গায় একটি নতুন ক্যাম্প স্থাপনের জন্য সেনা সদস্যরা জায়গাটি পরিচিহ্নিত করে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
প্রত্যাহৃত ক্যাম্পের উক্ত জায়গার ওয়ারিশসূত্রে মালিক হচ্ছেন মৃত মহেশ চন্দ্র চাকমার তিন ছেলে জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা (৫০), শরবিন্দু চাকমা (৪৭) ও অমর বিকাশ চাকমা (৩৮)। উক্ত জায়গাতে সেগুন বাগান করা হয়েছে।
এদিকে গত ২ মার্চ ২০২৩ থেকে রাঙ্গামাটি জেলার নান্যাচর উপজেলার নান্যাচর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ১৮ মাইল (ডাকবাংলা সংলগ্ন) থেকে প্রত্যাহৃত ক্যাম্পের জায়গায় নতুন ক্যাম্প স্থাপনের জন্য নান্যাচর জোনের একদল সেনা অবস্থান নিয়েছে।