হিল ভয়েস, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, বান্দরবান: বান্দরবানের রুমায় রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের দুর্গম রেমাক্রী ব্রিজ এলাকায় র্যাবের সঙ্গে নব্য ইসলামী জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারকিয়া ও পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা সম্পূর্ণ ভূয়া বলে জানা গেছে। গোলাগুলির সময় ঘটনাস্থল থেকে ১৭ ইসলামী জঙ্গি ও ৩ জন কেএনএফ সদস্যকে আটকের দাবিও সঠিক নয় বলে জানা গেছে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ হলরুমে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, বান্দরবানের থানচি উপজেলার লোয়াংমুয়াল রেমাক্রি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় টানা ১২ ঘন্টা রুদ্ধশ্বাস অভিযানের পর আটক করা হয়েছে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার দুর্ধর্ষ ১৭ জঙ্গি ও কেএনএফের ৩ সদস্য। এসময় র্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি ও বিদেশি অস্ত্র, বোমা তৈরির সরঞ্জামাদি, গোলাবারুদ ও নগদ ৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে হিল ভয়েসের অনুসন্ধানে র্যাবের এই দাবি সম্পূর্ণ ভূয়া ও সাজানো নাটক। ইসলামী জঙ্গী ও বমপার্টি খ্যাত কেএনএফের সাথে কোন ধরনের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দফায় দফায় ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। এভাবে ফাঁকা গুলি বর্ষণের ঘটনাকে সন্ত্রাসীদের সাথে র্যাবের বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে বলে র্যাব দাবি করছে। বস্তুত সন্ত্রাসীদের সাথে কোন গোলাগুলি হয়নি।
ঘটনাস্থল থেকে কথিত ১৭ জন ইসলামী জঙ্গী সদস্য আটকের ঘটনাও সঠিক নয় বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। কথিত ১৭ জন জঙ্গী অন্য জায়গা থেকে এনে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে ঘটনাস্থল থেকে লাল মলসিয়াম বম, ফ্লাগ ক্রস বম এবং মালসম পাংখোয়া নামে তিনজন কেএনএফ সদস্য আটকের ঘটনা সঠিক নয় বলে জানা গেছে।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে যে, ৭ লক্ষ টাকাসহ মালসম পাংখোয়াকে ৫ ফেব্রুয়ারি কাপ্তাই থেকে আটক করা হয়েছে এবং মলসিয়াম বম ও ফ্লাগ ক্রস বমকে ২/৩ মাস আগে রুমা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে যে, বমপার্টি খ্যাত কেএনএফের সাথে মলসিয়াম বম ও ফ্লাগ ক্রস বম জড়িত থাকলেও মালসম পাংখোয়া সরাসরি বমপার্টির কাজে জড়িত কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।