হিল ভয়েস, ২১ জানুয়ারি ২০২৩, ঢাকা: সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়নসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ।
সরকারের উদ্দেশ্যে সংগঠনটির নেতারা বলেন, মুলা ঝুলিয়ে সংখ্যালঘুদের ভোট ব্যাংক হিসেবে আর ব্যবহার করা যাবে না। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘুদের দেয়া প্রতিশ্রুতির যদি বাস্তবায়ন না হয়, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় জানে, কীভাবে দাবি বাস্তবায়ন করতে হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ বলছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আর কোনো রাজনৈতিক দলের বলির পাঁঠা বা ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহৃত হবে না।
গতকাল শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক হিন্দু সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন হিন্দু পরিষদ আন্তর্জাতিক কমিটির (আমেরিকা) সভাপতি সত্যব্রত কর এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বক্তব্য রাখেন হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র সুমন কুমার রায়, ঢাকা ইসকনের (ফুড ফর লাইফ) পরিচালক রূপানুগ গৌর দাস ব্রহ্মচারী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা সংখ্যায় কম হলেও দেশে অশান্তির সৃষ্টি করতে পারে। এ রকম অশান্তিতে রাখার লোক দেশে আছে। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দাবি উঠেছে যে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রবর্তন হওয়া উচিত। আমার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই দাবি তুলে ধরব।’
হিন্দু পরিষদ আন্তর্জাতিক কমিটির (আমেরিকা) সভাপতি সত্যব্রত কর বলেন, মা–বোনদের সম্ভ্রম হারানো ও বুকের তাজা রক্তে দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, সনাতনীরা স্বাধীনতার স্বাদ ভোগ করতে পারেনি, বরং আরও নির্যাতিত হচ্ছে।
সুমন কুমার রায় বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সব রকম বৈষম্যরোধে এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকার আদায়ে ভবিষ্যতে শুধু ঘরোয়া নয়, রাজপথেও ঐক্যবদ্ধভাবে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে তারা।
রূপানুগ গৌর দাস ব্রহ্মচারী বলেন, আমরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে সময় কাটাচ্ছি। ১৯৪৮ সালের পর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়কে উৎপাটনের জন্য যে চক্রান্ত চলছে, তা আজও বন্ধ হয়নি। নীরবে আমাদের শ্বাসরুদ্ধ করা হচ্ছে।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্দারী, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, গণআজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার প্রমুখ।