হিল ভয়েস, ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, রাঙ্গামাটি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক রাঙ্গামাটি জেলাধীন সদর উপজেলার মগবান ইউনিয়ন এলাকা থেকে এক নিরীহ জুম্ম গ্রামবাসীকে অন্যায়ভাবে আটক ও বাড়িতে তল্লাশি করা এবং নগদ প্রায় পৌনে দুই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল (১৪ জানুয়ারি) মধ্যরাত প্রায় ১২:০০ টায় রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার জীবতলী ইউনিয়নের জীবতলী সেনা ক্যাম্পের একদল সেনা সদস্য কর্তৃক এই ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম ভাগ্যধন চাকমা (৪২), পীং-বিন্দু লাল চাকমা, গ্রাম-দোগেইয়্যা পাড়া, ১নং ওয়ার্ড, মগবান ইউনিয়ন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে জীবতলী সেনা ক্যাম্পের ২০/২৫ জনের একটি সেনাদল দোগেইয়্যা পাড়া গ্রামে টহল অভিযানে যায়। রাত প্রায় ১২:০০ টার দিকে সেনাদলটি উক্ত ভাগ্যধন চাকমার বাড়ি ঘেরাও করে বাড়ির লোকজনকে ঘুম থেকে তুলে বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি চালায় এবং বাড়ির জিনিসপত্র তছনছ করে দেয়। এসময় ভাগ্যধন চাকমার জমানো ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা পেলে সেনা সদস্যরা সেগুলো ছিনিয়ে নেয় এবং এর পরপরই ভাগ্যধন চাকমাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে জীবতলী সেনা ক্যাম্পের দিকে আটক করে নিয়ে যায়।
এসময় সেনাবাহিনীর এহেন অমানবিক ও অন্যায় আচরণে বাড়ির লোকজন হতচকিত ও ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে বলে জানা যায়।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভাগ্যধন চাকমাকে জীবতলী সেনা ক্যাম্পেই আটক করে রাখা হয়েছে জানা গেছে।
আরো জানা গেছে, আজ (১৫ জানুয়ারি) বিকাল ৩:০০ টার দিকে রাঙ্গামাটি সদর কোতোয়ালী থানা থেকে একদল পুলিশ ভাগ্যধন চাকমার বাড়িতে গিয়ে তদন্ত চালায় এবং কিছুক্ষণ পর ফিরে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসী জানান, ভাগ্যধন চাকমা নিরীহ ও নিরপরাধ এক গ্রামবাসী। তার নামে কোনো মামলাও নেই। কোনো রাজনৈতিক দলের সাথেও তার সম্পৃক্ততা নেই। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে এলাকায় ভীতি সৃষ্টি, জুম্মদের নিপীড়ন, হয়রানি এবং টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্য নিয়েই এসব কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে।