হিল ভয়েস, ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, রাঙ্গামাটি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক শান্তি-শৃঙ্খলার নামে রাঙ্গামাটি জেলাধীন জুরাছড়ি উপজেলার যক্ষ্মাবাজারের বাঙালি ব্যবসায়ীদের সাথে স্থানীয় জুম্ম অধিবাসীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেনাবাহিনীর ২ অদ্বিতীয় বনযোগীছড়া সেনা জোনের জোন কম্যান্ডার লে: কর্নেল জুলফিকলী আরমান বিখ্যাত বেশ কিছুদিন ধরে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার নামে ‘জুরাছড়ি শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি’ গঠন করার জন্য জুরাছড়ি সদরের যক্ষ্মাবাজারের বাঙালি মুদির দোকানদারদের চাপ প্রয়োগ করে চলেছেন। বাঙালি ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর এই চেষ্টার সাথে মোটেও রাজী ও উৎসাহিত নয় বলে জানা গেছে। তবে তারা ভয়ে জোর গলায় কিছু বলতেও পারছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাঙালি ব্যবসায়ীর বক্তব্য হচ্ছে, আমরা এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করার লক্ষে দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করে আসছি। এখানে পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে কোনো বিদ্বেষ বা ভেদাভেদ নেই। এখানকার মানুষগুলোকে নিয়ে আমরা একে অপরের সহযোগিতা নিয়ে বসবাস করে আসছি। কিন্তু সেনাবাহিনী কর্তৃক হঠাৎ করে কী কারণে আমাদের দিয়ে এখানে শান্তি-শৃঙ্খলা কমিটি নামে একটি সংগঠন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে তা আমাদের জানা নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাঙালি ব্যবসায়ী আরো বলেন, এই সংগঠনের কাজ কী বা এর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কী তাও আমাদেরকে পরিষ্কার করে কিছুই জানানো হচ্ছে না। তিনি এই প্রচেষ্টা পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এইসব নিয়ে পড়ে থাকলে আমাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্তই হবে।
অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজার এলাকার এক জুম্ম অধিবাসী বলেন, এখানে বাঙালি ব্যবসায়ীদের সাথে জুম্মদের যে সদ্ভাব রয়েছে সেটা বিনষ্ট করে ফায়দা লুটার জন্যই সেনাবাহিনী এই আরেক ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।