হিল ভয়েস, ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তাগণ তাদের বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে পার্বত্য চুক্তিসহ আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ চট্টগ্রামে পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে দিনব্যাপী এই কর্মী সম্মেলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অমর কৃষ্ণ চাকমার সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জগৎ জোতি চাকমা সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি জ্যোতি চাকমা। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাহাড়ী শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ডিসান তঞ্চঙ্গা, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নরেশ চাকমা, চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক বিনিময় চাকমা, আদিবাসী মহিলা ফোরামের সভাপতি সোনাবি চাকমা। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রমিক কল্যাণ ফোরামের সহ সভাপতি অনিল বিকাশ চাকমা।
স্বাগতিক বক্তব্যে অনিল বিকাশ চাকমা বলেন, সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে অধিকতরভাবে জোড়ালো করার ক্ষেত্রে শাখা কমিটিগুলোর কোনো বিকল্প নেই। এজন্য তিনি শাখা কমিটি গুলোকে স্ব-উদ্যোগে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য গুরুত্বারোপ করেন।
প্রতিনিধির বক্তব্যে চিচিমনি চাকমা বলেন, আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শাখা কমিটিগুলোর বিশেষ ভূমিকা পালন করা খুবই জরুরি। কেননা শাখা কমিটিগুলোর মাধ্যমেই আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধি ও জোড়ালো হয়ে থাকে। এজন্য তিনি শাখা কমিটি গুলোকে বিশেষভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এক পর্যায়ে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে একটি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নরেশ চাকমা বলেন, সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধি ও আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শাখা কমিটিগুলোর ভূমিকা অপরিহার্য। কারণ শাখা কমিটিগুলোর মাধ্যমে আমরা সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে পারি। তিনি শাখা কমিটিগুলোর সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করা এবং সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে তরুণ ছাত্রসমাজ ও যুবসমাজকে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি তথা আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
বিনিময় চাকমা তার বক্তব্যে বলেন, আমাদেরকে জুম্ম জাতীয়তাবাদী চেতনাকে ধারণ করে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তিনি বলেন, কর্মী সম্মেলনের উদ্দেশ্য হচ্ছে সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধি ও জোড়ালো করার জন্য সকল শাখা কমিটির মতবিনিময় করা। যার মধ্যদিয়ে শাখা কমিটিগুলোর পারস্পরিক সম্পর্কের বৃদ্ধি ঘটে ও সাংগঠনিক কার্যক্রম বেগবান হয়।
আদিবাসী মহিলা ফোরামের সভানেত্রী সোনাবী চাকমা বলেন, অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আদিবাসী নারীরা অনেকাংশে পিছিয়ে রয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনে তিনি আদিবাসী নারীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।