স্মরণিকা চাকমা
এ সংসার মুলুগত হদক মুনিচ্যর এলাক-গেলাক
তারারে দ ইদোত ন গরং জেত্তমান তরে ইদোত গরং
তারাল্লই দ হদার ধুমো ন উদে
জেত্তমান তল্লই হদার রন উদে
জক্কে তল্লই হদা হবার আওচ অয়
অক্তয়ান বাচ্ছে থেবার মনে ন হয়
সিগারেট আংগি যায় তুও
ত হদার ভাজ থুম অদ ন চায়
তল্লই হদা হলে বোনা বোনা জাত প্রেত্যে মন্ত্র দুওচ
সেই হদা ভাজর লাঙেল এক্কে সেজ ন অয়
চিদত ফুদি থায় সং ইল অয় মন্ত্র শুনিলে
যক্কে মুই মন-বিজনত লুমং
সেক্কে তর মন্ত্রগুন বেজ বেজ গুরি হানত বাজন
মনে অয় যেন কাজী নজরুল, লেনিন
আ মার্থিন লুথার কিংঅর দারতাগলর ভাচ
যে ভাজে উবর হাবঅ হত্তা-কত্তার মাত উড়ি যায়
অক্ত বিদি জাল্লোই নুও দিন মাদান এজের যার
মাত্তর তুই এলে, আগজ আ থেবে এই মোনদেজ
জাদর বুগত, মুগত, কামত জনমান।
বাংলা অনুবাদ:
বেঁচে রবে চিরদিন
এই জগত সংসারে কত মানব এলো আর গেলো
তারা তো স্মরণে আসে না যতটা তুমি আসো
তাদের সাথে তো কথার ঝড় ওঠে না
যতটা তোমার সাথে আলোচনায় উদ্দীপনা আসে
যখনই তোমার সাথে আলাপের ইচ্ছে জাগে
সময়ের জন্য অপেক্ষার তর সয় না
সিগারেট পুড়ে পুড়ে যায়, তবুও
তোমার কথার মালা থামতে চায় না
তোমার সাথে আলাপ হলেই একের পর এক স্বজাতিপ্রেমের মন্ত্র দিতে
সেই কথামালার সারি মোটেও শেষ হয় না
যেন চিত্তে বিদ্ধ হয়ে তৃপ্তি পাই সেই মন্ত্র শ্রবণে
যখন আমি মনের গহীনতম স্থানে পৌঁছি
তখন তোমার বাণীগুলো সবচেয়ে বেশি কানে বাজে
মনে হয় যেন কাজী নজরুল, লেনিন
আর মার্থিন লুথার কিংদের ধারালো দা’য়ের ভাষা
যে ভাষাতে উপরতলার হর্তাকর্তাদের ভাষা হারিয়ে যায়
সময় বয়ে চলেছে, নতুন প্রহর আসে আর যায়
তবে তুমি ছিলে, রয়েছো এবং রবে এই পাহাড়দেশে
জাতির অন্তরে, কথায়, কাজে চিরজীবন ধরে।
বাংলা ভাবানুবাদ করেন সজীব চাকমা।