মুক্তা চাকমা
কন্না কয় তুই নেই আমা কায়?
তুই আগচ আমা মনত,
আগচ আমা দি-চোগো পাদাত,
তুই জুম্ম জাদর পদ দেগেইয়্যে।
ত’ আদর্শর পহরে বেক আমি
পহর গরিবং এ আঝায় নিত্য
বেগে তরে জু জানেই।
তুই দেজামেজা হিয়ে মানজ্যর আঝা;
অধিকার আদায়র লাড়েইঅর কাবিদ্যং।
মুইও আর নেই আগ সান পাদুরু,
বুট-বন্দুগ’ রয় আর উগুরি ন’উদং।
ন’খাং আর আদারা; ঝারত ন’দোং আর ডরে
পুনত মুড়ি বাচ্যা ধাবা।
অযাবিনঅ ডরে ন’উদে আর ঝাঁৎ ঝাঁৎ জারঅ কাদা।
অভেদর দুগ, দুন্ধুুগ, রোগনী পরান
জীংকানীর লুভ ধাব ঈরি দে।
শিগি লইয়ে লাড়েইঅ ভাচ।
জনমান বাজি থেবে
অধিকার হারা মানেইঅ মনত
তুই-মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা।
বাংলা অনুবাদঃ
তুমি-মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা
কে বলে তুমি নেই আমাদের মাঝে?
তুমি আছ আমাদের মনে,
আছ আমাদের দু’চোখের দৃষ্টিতে,
তুমি জুম্ম জাতির অনন্য পথ প্রদর্শক।
তোমার আদর্শের আলোয় আমরা
আলোকিত হবো এ আশায় নিত্য
তোমায় প্রণাম জানাই।
তুমি ছিলে নিপীড়িত মানুষের তরে নিবেদিত প্রাণ;
অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে অবিচল।
আমিও আর নেই আগের মতো ভীতু,
বুট-বন্দুকের ভয়ে আর আতংকিত নই।
আশংকায় বনে বাদাড়ে পালিয়ে বেড়াই না,
অমানুষের ভয়ে আর লোমকূপ খাড়া হয় না।
অনেক নির্মমতা, নৃসংশতা, ক্ষত বিক্ষত হৃদয়
জীবনের মোহ-মায়া ত্যাগ করেছে।
শিখে নিয়েছে প্রতিবাদের, প্রতিরোধের ভাষা।
আজীবন বেঁচে থাকবে
অধিকার হারা মানুষের হৃদয়ে
তুমি-মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা।
বাংলা ভাবানুবাদ করেছেন কবি হাফিজ রশিদ খান।