হিল ভয়েস, ১১ নভেম্বর ২০২২, চট্টগ্রাম: গতকাল (১০ নভেম্বর ২০২২) “সকল প্রকার বিভেদ ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়নে বৃহত্তর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ুন” স্লোগানে পাহাড়ি শ্রমিক কল্যাণ ফোরাম এর কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে চট্টগ্রাম বন্দরে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় মহান নেতা এম এন লারমা’র ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
অমর কৃষ্ণ চাকমার সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জগৎ জ্যোতি চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ, ইপিজেড থানা শাখার সহ সভাপতি শ্যামল বিশ্বাস এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঐক্য পরিষদ, ইপিজেড শাখার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশীষ ভট্টাচার্য, পাহাড়ি শ্রমিক কল্যাণ ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি অনিল বিকাশ চাকমা, আদিবাসী মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রুনা চাকমা, বন্দর থানা শাখার সভাপতি সুজন চাকমা। এম এন লারমার জীবন-সংগ্রামের উপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ডিএস তঞ্চঙ্গ্যা। স্মরণ সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সন্তোষ বিকাশ চাকমা।
প্রধান অতিথি শ্যামল বিশ্বাস বলেন, আজকে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ২৫ বছর হতে যাচ্ছে। সরকার এখনো মৌলিক ধারাগুলো বাস্তবায়ন করেনি। সামনে নির্বাচন আসছে। সরকার আবারো বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে মাঠে নামতে পারে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। এম এন লারমা দেশের সমগ্র শ্রমিক মেহনতি মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন, সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হয়ে গেলেও আদিবাসীসহ মেহনতি মানুষের অধিকার রাষ্ট্র তথা সরকার নিশ্চিত করেন নি। তাই অধিকারের জন্য পাহাড় ও সমতলের মেহনতি মানুষদের লড়াই করতে হবে, লড়াই বিনে অধিকার পাবো না।
বিশেষ অতিথি মহিলা ফোরাম এর নেত্রী রুনা চাকমা বলেন, আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এসে আমরা যারা বিভিন্ন কলকারখানায় চাকরি করছি, তারা অনেকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থার শিকার হন। যদি এইভাবে কেউ শিকার হয় তাহলে চুপ করে না থেকে প্রতিবাদ করবেন। এম এন লারমার মতন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই হবে। এম এন লারমা শিখিয়ে গেছেন, লড়াই করে বাঁচতে হবে।
সুজন চাকমা বলেন, আমাদের মহান নেতা এম এন লারমাকে হারিয়েছি, কিন্তু তিনি আমাদের মাঝে না থাকলেও তাঁর নীতি ও আদর্শ রয়ে গেছে।
স্বাগত বক্তব্যে সন্তোষ বিকাশ চাকমা বলেন, এম এন লারমা আমাদের নেতা ছিলেন। তিনিই প্রথম জুম্মদের অধিকারের জন্য কথা বলেছেন। তাঁর হাতে গড়া মহান পার্টি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি দীর্ঘ ২৪ বছর সংগ্রাম করে বাংলাদেশ সরকারের সাথে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদন করলেও সেই চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।