হিল ভয়েস, ৭ অক্টোবর ২০২২, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলাধীন বনযোগীছড়া জোনের অধীনস্থ সেনা ক্যাম্পের সেনারাও বিলাইছড়ি, রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলা ব্যাপী চলমান কম্বিং অপারেশনে সামিল হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে, আজ শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বনযোগীছড়া সেনা জোনের অধীনে লুলাংছড়িতে স্থাপিত নতুন ক্যাম্প হতে ক্যাপ্টেন মোশারফের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি সেনা দল জুরাছড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বারিস গোলা এলাকায় অপারেশন শুরু করেছে।
নির্ভরযোগ্য সুত্রে আরও খবর পাওয়া গিয়েছে যে, আজ শুক্রবার রাতে বনযোগীছড়া জোন সদর হতে জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল জুলকিফলী আরমান পিএসসি নেতৃত্বে আরো একটি সেনা দল অপারেশনে নামতে পারে।
এদিকে একই জোনের অধীনে শিলছড়ি নামক সেনা ক্যাম্প হতেও অপারেশনে যোগ দিতে পারে বলে খবর পাওয়া গেছে।
গত ৩ অক্টোবর থেকে রেংক্ষ্যং ভ্যালীতে শুরু হয়েছে এই কম্বিং অপারেশন। বমপার্টি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে বিলাইছড়ি, রোয়াংছড়ি, রুমা ও বান্দরবান জোন থেকে সংশ্লিষ্ট জোন কম্যান্ডারদের নেতৃত্বে আনুমানিক ৮০০ থেকে ১০০০-এর মতো সেনা সদস্য এই কম্বিং অপারেশনে অংশগ্রহণ করেছে।
অভিযানে বান্দরবান ব্রিগেড কম্যান্ডার
বান্দরবান ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: জিয়াউল হক ৫০ জন সৈন্য নিয়ে আজ শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২:৩০ টার দিকে কম্বিং অপারেশনে সামিল হয়ে রেইংখ্যং খালের গঙ্গাচড়া গ্রামে পৌঁছেছেন।
গতকাল (৬ অক্টোবর) সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার হিঙ্গেহারা গ্রামে (গঙ্গাছড়ার উত্তরে, রেইংখ্যং নালার পূর্ব পাড়ে) অবতরণের চেষ্টা করলেও অবতরণ করতে পারেনি। পরে ৪০ জন স্থানীয় গ্রামবাসীকে জোরপূর্বক ধরে এনে গঙ্গাছড়া থেকে ২টি হেলিপ্যাডের সমান এলাকা তৈরি করা হয়েছে। আজ থেকে হয়তো হেলিকপ্টার সংশ্লিষ্ট এলাকায় যেতে পারে।
রুমা জোনের জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসান শাহরিয়ার ইকবাল গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) হেলিকপ্টার যোগে রোয়াংছড়ির রনিনপাড়ায় এসেছেন।
হেলিকপ্টারটি সেনাবাহিনীর জন্য রসদ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে আসে। এদিকে জিওসির আগমনকে কেন্দ্র করে সিপ্পি পাড়ায় নতুন একটি হেলিপ্যাড নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, রনিন পাড়ার বাসিন্দাদের সেনাবাহিনীর মঞ্চ তৈরির জন্য বন থেকে বাঁশ, গাছ কেটে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি অপারেশন পরিদর্শনে আসবেন।