মিন্ট অং
দীর্ঘ দুই যুগের অধিক সশস্ত্র আন্দোলনের পর ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় সেটা গোটা বিশ্ব জানে। বিশ্বের বহু দেশের কুটনীতিকরা দেখেছিলেন কী হয়েছিল সেদিন খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীবর্গও উপস্থিত ছিলেন। সেদিন সকলের উপস্থিতিতে কালো পতাকা প্রদর্শন করা হয়েছিল স্টেডিয়ামে। তারা কারা ছিল? তারা হলো বিভেদপন্থী ইউপিডিএফ। শাসকগোষ্ঠীর যোগসাজসে তারা সেদিন এ ধরনের তৎপরতা চালাতে সক্ষম হয়েছিল। সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদ না থাকলে কয়েক স্তরের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেদ করে প্রতিবাদের জন্য ব্যানার, ফেষ্টুন ও ব্যানার-ফেষ্টুন টানানোর বাঁশ স্টেডিয়ামে কখনোই নেয়া সম্ভব ছিল না। ইউপিডিএফ তার জন্মের পূর্ব থেকে সেনাবাহিনী তথা শাসকগোষ্ঠীর সাথে গাঁটছড়া বেঁধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে ’৮৩-তেও আমরা দেখেছিলাম কারা সেসময় স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য বুলেট ছুড়েছিল। এক পর্যায়ে বন্দুকের ইশারায় তারা হত্যা করেছিল জুম্ম জাতীয় অবিসংবাদিত নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাকে। জাতির আশা-আকাক্সক্ষায় অন্ধকার নামিয়েছিল চার কুচক্রী বিভেদপন্থীরা। জুম্ম জাতির সেই একই ষড়যন্ত্রের ফসল হলো ১৯৯৮ সালের ২৬ ডিসেম্বরে। জন্মলাভ করেছে ইউপিডিএফ নামক প্রতিক্রিয়াশীল দল। পার্বত্য চুক্তিকে কালো চুক্তি অভিহিত করে এবং ‘পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন’-এর বুলি আওড়ালেও আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতৃত্ব। জন্ম হতে না হতেই ক্রমাগত চুক্তির পক্ষের লোকদের হত্যা করতে থাকে ইউপিডিএফ। পার্বত্য চট্টগ্রামে এভাবে জুম্ম জনগণের উপরনতুন সমস্যা ও সংঘাতচাপিয়ে দিতে থাকে ইউপিডিএফ। শুরু হয় অত্যাচার, গুম, হত্যা ও অপহরণ। হামলা করা হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যানের উপর।
এভাবেই এযাবৎ পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনের পথে বাধা হয়ে উঠে ইউপিডিএফ। একসময় শাসকগোষ্ঠীর মতো ইউপিডিএফ জনসংহতি সমিতির সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে এবং ইউপিডিএফের নিকট আত্মসমর্পণের সময়সীমা ঘোষণা করে। অন্যদিকে জনমতের প্রবল চাপে পড়ে ইউপিডিএফ কখনো তথাকথিত ‘ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত’ বন্ধের আওয়াজ তুলে, আবার কখনো পার্বত্য চুক্তিকে সমর্থনের কথা বলে, কখনো চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনে জনসংহতি সমিতিকে সহযোগিতা প্রদানের ঘোষণা করে। এভাবে একের পর এক ধোঁকাবাজি করে ইউপিডিএফ জুম্ম জনগণকে তথা দেশি-বিদেশি জনমতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে থাকে।
১৯৯৮ সালে চুক্তিকে বিরোধীতা করে জন্ম নেওয়া ইউপিডিএফের কারণে যে ক্ষতি হয় তার ক্ষত শুকাতে না শুকাতে আরেক ক্ষতির মুখে পড়ে জুম্ম জাতি। দেশে জরুরী অবস্থার সময় (২০০৭-২০০৮) পরিকল্পিতভাবে শাসকগোষ্ঠীর ‘ভাগ কর, শাসন কর’ নীতির খপ্পরে পড়ে উপদলীয় চক্রান্ত করে জন্মলাভ করে সংস্কারপন্থী জেএসএস। বাংলাদেশে সেসময় সামরিক শাসন চলছে। ে সেনাবাহিনী তথা শাসকগোষ্ঠীর নীতি, পরিকল্পনা ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে থাকে সংস্কারপন্থী জেএসএস খ্যাত সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। পরবর্তীতে সংস্কারপন্থীরা জেএসএস নামের শেষে এম এন লারমার নাম যোগ করে সস্তা জনসমর্থন আদায়ের ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। চোরে চোরে মামাতো ভাই। তাই সেনাবাহিনীর অঙ্গুলি হেলনে ইউপিডিএফ ও সংস্কারপন্থী জেএসএসের মধ্যে গড়ে ওঠে অশুভ শক্তির জোট। শুরু হয় জনসংহতি সমিতির উপর সংস্কারপন্থী জেএসএস ও ইউপিডিএফের জোটবদ্ধভাবে হামলা।
২০০৯ সালে বর্তমান আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। সেনাবাহিনী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃত্ব মেতে উঠে আরেক নতুন ষড়যন্ত্রে। বিদেশী সশস্ত্র গ্রুপ আরাকান লিবারেশন পার্টি (এএলপি)-এর দলছুট কিছু উচ্ছৃঙ্খল ও বিপথগামী সদস্যকে জনসংহতি সমিতি তথা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে উস্কে দিতে থাকে। তাদেরকে রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি প্রভৃতি এলাকায় আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতে থাকে। ইউপিডিএফ ও সংস্কারপন্থীদের মতো তারাও হত্যা, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, চাঁদাবাজিতে এলাকায় জনজীবনকে বিষিয়ে তুলে। স্থানীয় মারমা জনগোষ্ঠীর সমর্থন লাভের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মদদে এএলপি’র সেই দলছুট গোষ্ঠীকে নাম দেয়া হয় মারমা লিবারেশন পার্টি (এমএলপি), যা পরবর্তীতে মগপার্টি নামে সমধিক পরিচিতি লাভ করে।
এমএলপি নাম দিয়ে সেই দলছুট এএলপি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বীর বাহাদুরের মদদে দীপংকর তালুকদারের নেতৃত্বে রাঙ্গামাটি জেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগ রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলীতে নিয়ে আসে। মারমা জাতীয়তাবাদের বুলি আওড়ালেও তাদেরও মূল টার্গেট জনসংহতি সমিতির নেতৃত্ব। সেনাবাহিনী ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে মগপাটি রাজস্থলী ও বান্দরবান সদর উপজেলায় কায়েম করে এক লোমহর্ষক ত্রাস। ধর্মীয় গুরুও (ভান্তে) রক্ষা পায়নি তাদের হাতে। এক্ষেত্রেও চোরে চোরে মামাতো ভাই, তাই মগপার্টির সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ইউপিডিএফ একেবারের নিশ্চুপ থাকে, একপ্রকার মৌন সমর্থন দিতে থাকে।
২০১৭ সালের শেষের দিকে (নভেম্বরে) সেনাবাহিনী ও সংস্কারপন্থী জেএসএসের মূল হোতা তাতিন্দ্র লাল চাকমার ষড়যন্ত্রে গড়ে তোলা হয় ইউপিডিএফ থেকে নিষ্ক্রীয় হওয়া সদস্যদের নিয়ে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) নামে আরেকটি সশস্ত্র গ্রুপ। তাদেরকেও জনসংহতি সমিতি ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি জেলার খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা ও পানছড়ি উপজেলা এবং রাঙ্গামাটি জেলার বরকল ও রাঙ্গামাটি সদর উপাজেলায় মোতায়েন করা হয়।
২০২১ সালের শেষান্তে সেনাবাহিনী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে আরেকটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে মাঠে নামিয়ে দেয়। ২০০৮ সালে কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলাপমেন্ট অর্গানাইজেশন নামে প্রতিষ্ঠিত হলেও পরবর্তীতে কেএনএফ নাম দিয়ে ধীরে ধীরে জনসংহতি সমিতি তথা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে সশস্ত্র তৎপরতায় লেলিয়ে দেয়া হয়। বম, পাংখো, লুসাই, খিয়াং, খুমী ও ম্রো জনগোষ্ঠীদের নিয়ে কুকি-চিন সংগঠন গঠিত বলে দাবি করা হলেও এই সংগঠনে মূলত বম জনগোষ্ঠীর কতিপয় সুবিধাবাদী তরুণ ও সেনাবাহিনীর দালাল ছাড়া কেউ সম্পৃক্ত হয়নি। কেবল জনসংহতি সমিতি ও পার্বত্য চুক্তির বিরুদ্ধে বমপার্টিকে লেলিয়ে দেয়া হয়নি, আরাকান ও মিজোরাম সীমান্তে ইসলামী জঙ্গী গোষ্ঠীগুলোকে মোতায়েনের জন্য জেএমবি ও হরকাতুল জিহাদের জনৈক নেতৃস্থানীয় সদস্যের নেতৃত্বাধীন জামায়াতে আরাকান নামে একটি ইসলামী জঙ্গী গোষ্ঠীর সাথে কুকি-চিনদের সংযোগ করে দেয়া হয়।
বমপার্টি একদিক ইসলামী জঙ্গী গোষ্ঠীর অস্ত্র সংগ্রাহক ও সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করছে, অন্যদিকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় চাকমাসহ সংখ্যাগুরু জুম্ম জনগোষ্ঠী, আন্দোলনরত জনসংহতি সমিতি তথা পার্বত্য চুক্তির বিরুদ্ধে সশস্ত্র সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বান্দরবান ও রাঙামাটির কিছু অঞ্চল নিয়ে নিজেদের স্বাধীন রাজ্য ঘোষণা করে তারা। নিজেদের রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য মূল লক্ষ্য হিসেবে আঘাত করতে থাকে জনসংহতি সমিতির উপর।
এভাবে পর্যায়ক্রমে ইউপিডিএফ, সংস্কারপন্থী জেএসএস, মগপাটি, ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক), বমপার্টি প্রভৃতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে লেলিয়ে দিয়ে জনসংহতি সমিতি তথা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে চালানো চতুর্মুখী সাড়াশি আক্রমণকে কি ‘ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত’ বলা যায়? বস্তুত এটা কখনোই ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত নয়, এটা সেনাবাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ তথা শাসকগোষ্ঠীর ‘ভাগ করো শাসন করো’ নীতিরই ষড়যন্ত্রমূলক নীলনক্সা। শাসকগোষ্ঠীর পক্ষে এসব সশস্ত্র গ্রুপগুলো অনেকটা পঞ্চম বাহিনী হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। সেনাবাহিনী, চুক্তি বিরোধী আমলা বাহিনী, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ তথা শাসকগোষ্ঠীর থেকে এসব সশস্ত্র গ্রুপগুলো পৃথক করার কোন সুযোগ নেই। এখানে শাসকগোষ্ঠী একটাই, আর তা হলো বাংলাদেশ সরকার। আর তার লাঠিয়াল হিসেবে সেনাবাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, আমলা বাহিনী, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃত্ব, ইউপিডিএফ, সংস্কারপন্থী জেএসএস, মগপাটি, ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক), বমপার্টি ইত্যাদি এক একটি পক্ষ এক একটি ফ্রন্টে জনসংহতি সমিতি তথা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে।
জনসংহতি সমিতি তথা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে ইউপিডিএফ, সংস্কারপন্থী জেএসএস, মগপাটি, ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক), বমপার্টি প্রভৃতি জুম্ম সশস্ত্র গ্রুপকে লেলিয়ে দিয়ে শাসকগোষ্ঠী পার্বত্য চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছে, যার মূল লক্ষ্য হলো অমুসলিম অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রামকে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিণত করা এবং জুম্ম জনগণকে জাতিগতভাবে নির্মূল করা। সেই অপকর্মকে ধামাচাপা দিতেই এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতেই শাসকগোষ্ঠী এটাকে জুম্মদের মধ্যকার ‘আভ্যন্তরীণ সংঘাত’ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সেই অপপ্রচারে সামিল হয়ে শাসকগোষ্ঠীর চাপিয়ে দেয়া সংঘাতকে ইউপিডিএফও ‘ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত’ বলে ঢাকঢোল পিটিয়ে চলছে, যার মূল উদ্দেশ্যই হলো শাসকগোষ্ঠী যেভাবে জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চুক্তি বাস্তাবায়ন আন্দোলন তথা জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আন্দোলনকে ক্রিমিনালাইজ (সন্ত্রাসী কার্যক্রম হিসেবে অপরাধীকরণ) করছে, সেভাবে জনসংহতি সমিতিকে অপরাধী করার হীনউদ্দেশ্যেই জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে ‘ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত’-এর দায় চাপানোর ষড়যন্ত্র করছে।
বর্তমান প্রজন্মের কাছে এই বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া উচিত যে, কোনটা সত্য আর কোনটা সত্য নয়। এক সাথে দুটো সত্যের মানদন্ড হতে পারে না। হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন সত্য, নয়তো পার্বত্য চুক্তিকে বিরোধীতা করা সত্য। রাজনৈতিক আদর্শের ভিত্তিতে প্রকৃত ন্যায় এবং সত্যকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব নতুন প্রজন্মের উপর বর্তায়। ইউপিডিএফ এর তথাকথিত ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের ফাঁদে পা না দেবার আহ্বান তরুণ প্রজন্মকে। এক চুলও নীতিভ্রষ্ট ও আদর্শচ্যুত হওয়া চলবে না। আসুন চুক্তি বিরোধী সকল প্রকার অপশক্তিকে প্রতিহত করি। সমাজকে বদলে দেবার অভিপ্রায়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই। আর নয় প্রতিক্রিয়াশীল, জুম্ম-স্বার্থ পরিপন্থী কাজ ও চুক্তি-বিরোধী ষড়যন্ত্র। জুম্ম জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষায় সকলে ঐক্যবদ্ধ হই, পার্বত্য চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম স্বার্থ পরিপন্থী সকল ষড়যন্ত্র গুড়িয়ে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন তথা জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আন্দোলন জোরদার করি।