হিল ভয়েস, ১৯ আগষ্ট ২০২২, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলাধীন শ্যামনগর উপজেলার ধুমঘাট অন্তখালি মুন্ডাপাড়ায় মুন্ডা পরিবারের জমি দখলের উদ্দেশ্যে মুন্ডা আদিবাসীদের ৩ নারীসহ ৪ জনকে পিঠিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহতরা হলেন- সুলতা রানী মুন্ডা (৩৫), বিলাসী রানী মুন্ডা (৩৭), রানী মুন্ডা (৩৫) ও নরেন্দ্র মুন্ডা (৬৫)। আহতদেরকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রীফলকাটি গ্রামের গফুর সরদারের ছেলে রাশিদুল সরদার ও এবাদুল সরদারের নেতৃত্বে আজ শুক্রবার (১৯ আগষ্ট) সকাল ৮ঃ৩০ টার দিকে আকস্মিকভাবে দুই শতাদিক ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল নিয়ে মুন্ডা পল্লি ঘিরে ফেলে। তারা প্রতিটি পরিবারকে ঘরের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রেখে তাদের ভোগ দখলে থাকা জমিতে পাওয়ার টিলার নামিয়ে চাষ শুরু করে। একপর্যায়ে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে কোনো রকমে নিজেদের মুক্ত করে জমি চাষে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন অনেকে। তখন তাদের বেধড়ক মারপিট করা হয়। এ সময় রিনা মুন্ডা, সুলতা মুন্ডা ও বিলাসী মুন্ডা ও নরেন মুন্ডা মারাত্মকভাবে আহত হয়।
প্রায় সকাল ৯টা পর্যন্ত রাশেদুল সরদার এবং এবাদুল সরদার মুন্ডাদেরকে আটকে রেখে জোর পূর্বক জমি দখল করে চাষ করে। দীর্ঘ সময় পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রাশেদুল বাহিনী পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা নরেন সরদার এবং তার ছেলে বউ রীনা মুন্ডা, বিলাসী মুন্ডা এবং সুলতা মুন্ডাকে উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, ধুমঘাট অন্তখালি মুন্ডাপাড়ায় গত প্রায় ১০০ বছর ধরে ৩২টি মুন্ডা পরিবার বসবাস করে আসছেন। এর মধ্যে রাখাল মুন্ডা, অবিনাশ মুন্ডা, নিরাপদ মুন্ডা ও অধীর মুন্ডাসহ ৮টি পরিবার যেখানে বসবাস ও কৃষিকাজ করেন, পাশের শ্রীফলকাটি গ্রামের রাশিদুল ইসলাম সরদার ও এবাদুল ইসলাম সরদার সম্প্রতি ওই জমি তাদের বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ বলেন, খবর পেয়ে মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।