মঙ্গল কুমার চাকমা
একাদশ জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনের ২০২২-২৩ অর্থবৎসরের বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় গত ১৬ জুন পার্বত্য রাঙ্গামাটি আসনের সাংসদ দীপংকর তালুকদার বলেছেন, ‘পার্বত্য শান্তিচুক্তির কোথাও লেখা নাই প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ বসানো যাবে না।’
এপিবিএন মোতায়েন সম্পর্কে দীপংকর তালুকদার তাঁর সংসদ বক্তৃতায় এক অর্থে সত্য কথাটিই বলেছেন। কিন্তু পার্বত্য চুক্তিতে তার থেকে বড় যে সত্য কথাগুলো উল্লেখ রয়েছে, সেই কথাগুলো তিনি ঘুণাক্ষরেও উল্লেখ করেননি। প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্পের পরিত্যক্ত জায়গাগুলো কী করা হবে কিংবা কার কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং পার্বত্য জেলার পুলিশ বাহিনী কীভাবে গঠিত হবে ও আইন-শৃঙ্খলা প্রশাসনের এখতিয়ার কার হাতে থাকবে ইত্যাদি বিষয়ে পার্বত্য চুক্তিতে কী বিধান রয়েছে সে সম্পর্কে সাংসদ মহোদয় তাঁর বক্তৃতায় ভুলেও উল্লেখ করেননি। তিনি আরো বলেছেন, পার্বত্য চুক্তিতে নাকি ‘অপ্রয়োজনীয় ক্যাম্পগুলো’ গুটিয়ে আনার কথা রয়েছে। বস্তুত চুক্তিতে ‘সামরিক বাহিনী, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সকল অস্থায়ী ক্যাম্প’ স্থায়ী নিবাসে ফিরিয়ে নেয়ার কথা রয়েছে। এভাবেই আজ পার্বত্য চুক্তিকে বিকৃত, মনগড়া ও ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে।
পার্বত্য চুক্তির ‘ঘ’ খন্ডের ১৭(খ) ধারায় ‘সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর ক্যাম্প ও সেনানিবাস কর্তৃক পরিত্যক্ত জায়গা-জমি প্রকৃত মালিকের নিকট অথবা পার্বত্য জেলা পরিষদের নিকট হস্তান্তর করার’ যে বিধান রয়েছে, চুক্তির সেই বিধান সম্পর্কে সাংসদ মহোদয় তাঁর বক্তৃতায় সুকৌশলে এড়িয়ে গেছেন। চুক্তির এই ধারা অনুসারে এসব জায়গায় কোনো বাহিনী মোতায়েনের কোনো সুযোগ নেই। বস্তুত তিনি পার্বত্য চুক্তির সেই বিধানাবলী বিষয়ে সুকৌশলে অন্ধকারে রেখে সাংসদ মহোদয় দেশবাসীর কাছে কার্যত ভুল বার্তা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেন।
অপরদিকে পার্বত্য চুক্তির ‘খ’ খন্ডের ৩৪(খ)নং ধারায় ‘পুলিশ (স্থানীয়)’ বিষয়টি এবং ৩৩(ক)নং ধারায় ‘জেলার আইন-শৃঙ্খলা সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ সংক্রান্ত বিষয়টি তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তরের বিধান করা হয়েছে এবং ২৪(ক) নং ধারায় ‘পার্বত্য জেলা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর ও তদনিম্ন স্তরের সকল সদস্য প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিষদ কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন’ মর্মে উল্লেখ রয়েছে।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে সাংসদ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহকে নিয়োগ দেয়ার পর এযাবত অনুষ্ঠিত পাচঁটি সভার মধ্যে প্রথম চারটি সভায় পার্বত্য চুক্তির উক্ত বিধানাবলী অনুসারে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে ‘পুলিশ (স্থানীয়)’ ও ‘আইন-শৃঙ্খলা সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ বিষয় হস্তান্তর করা ও অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার করা, পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন মোতাবেক পার্বত্য জেলা পুলিশ বাহিনী গঠন করা ইত্যাদি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। উল্লেখ্য, প্রত্যাহারকৃত অস্থায়ী ক্যাম্পের স্থলে পুলিশ ক্যাম্প বসানোর কোনো সিদ্ধান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটিতে গ্রহণ করা হয়নি।
কিন্তু পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির উল্লেখিত চারটি সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করে কমিটির ৫ম সভার প্রস্তাবাবলীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের যুক্তি দেখিয়ে এবং চুক্তির এ সংক্রান্ত বিধানাবলী পদদলিত করে ১৩ এপ্রিল ২০২২ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রত্যাহৃত সেনা ক্যাম্পের জায়গায় এবিপিএন ক্যাম্প স্থাপনের নির্দেশনা জারি করা হয়। এমনকি প্রত্যাহৃত সেনা ক্যাম্পের জায়গাগুলো প্রকৃত মালিকের নিকট কিংবা সংশ্লিষ্ট পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তর না করে চুক্তি লঙ্ঘন করে সেসব জায়গায় ‘নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য নির্ধারিত স্থান’, ‘উক্ত স্থানে কোনো প্রকার মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, গির্জা, কেয়াং ঘর বা অন্য কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ও দন্ডনীয় অপরাধ’ ইত্যাদি উল্লেখ করে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে এবং যেসমস্ত জায়গায় জুম্ম পরিবার বসবাস করছে সেসব পরিবারগুলোকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যেতে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু পার্বত্য রাঙ্গামাটি আসনের সাংসদ মহোদয় এসব বিষয়গুলো আড়াল করে ‘চুক্তিতে কোথাও লেখা নাই প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্পগুলোতে আর্মস পুলিশ বসানো যাবে না’ মর্মে তিনি সংসদে একপেশে বক্তব্য প্রদান করেন। অত্যন্ত দু:খজনক যে, পার্বত্য চুক্তিতে যেসব বিষয়গুলো উল্লেখ নেই, কেবল সেসব বিষয়গুলোর কথা বলার জন্য তাঁকে যেভাবে ও যতটা জাতীয় সংসদে সোচ্চার হতে দেখা যায়, কিন্তু চুক্তিতে সন্নিবেশিত অধিকার এবং চুক্তির অবাস্তবায়িত বিষয়াবলী সম্পর্কে তুলে ধরতে জাতীয় সংসদে বা অন্য কোন সভা-সমাবেশে সোচ্চার হতে তাঁকে কখনোই দেখা যায় না।
পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করলেই ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে কেবল উন্নয়নের মোড়ক দিয়ে কিংবা সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-হানাহানির আবরণ দিয়ে আইন-শৃঙ্খলার চশমা দিয়ে দেশবাসীর নিকট তুলে ধরা হয়। বস্তুত পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা কোনো অর্থনৈতিক (উন্নয়ন) সমস্যা কিংবা আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা নয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা একটি রাজনৈতিক ও জাতীয় সমস্যা, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর অনেক বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। তাই রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের উদ্দেশ্যে এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি (জুম্ম) অধ্যুষিত অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণের লক্ষ্যেই ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বস্তুত এটাই ছিল পার্বত্য চুক্তির মূল চেতনা বা স্পিরিট।
তারই ভিত্তিতে পার্বত্য চুক্তির ‘খ’ ও ‘গ’ খন্ডে আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্বলিত পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশেষ শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করা এবং এসব পরিষদে সাধারণ প্রশাসন, পুলিশ, আইন-শৃঙ্খলা, ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, বন (রিজার্ভ বন ব্যতীত) ও পরিবেশ, সকল উন্নয়ন কার্যক্রমসহ রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা ও কার্যাবলী হস্তান্তরেরও বিধান করা হয়েছে।
চুক্তির সেসব বিধানাবলী অনুসারে আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠিত হয়েছে সত্য, কিন্তু বিগত আড়াই দশকেও এসব পরিষদের নিকট উল্লেখিত প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক এখতিয়ার ও কার্যাবলী ন্যস্ত করা হয়নি। এমনকি তিন পার্বত্য জেলার স্থায়ী অধিবাসীদের নিয়ে ভোটার তালিকা প্রণয়ন পূর্বক এসব পরিষদের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়নি। উপরন্তু চুক্তিতে অউপজাতীয় (বাঙালি) স্থায়ী বাসিন্দার সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং মৌজা হেডম্যান কিংবা ইউপি চেয়ারম্যানের প্রদত্ত সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে কেবলমাত্র সার্কেল চীফ কর্তৃক স্থায়ী বাসিন্দার সনদপত্র প্রদানের বিধান করা হয়েছে। কিন্তু চুক্তির এই বিধান লঙ্ঘন করে ডেপুটি কমিশনারদেরও স্থায়ী বাসিন্দার সনদপত্র প্রদানের এখতিয়ার প্রদান করা হয়েছে। চুক্তির এসব মৌলিক বিষয় যথাযথভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ায় একদিকে যেমন পার্বত্য সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান অর্জিত হয়নি, অন্যদিকে তেমনি আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্বলিত পার্বত্যবাসীর স্বশাসনও গড়ে উঠেনি।
এছাড়া পার্বত্য চুক্তির ‘ঘ’ খন্ডে ভূমি কমিশনের মাধ্যমে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করে জুম্মদের বেহাত জায়গা-জমি ফেরত দেয়া ও বহিরাগতদের নিকট প্রদত্ত সকল ইজারা বাতিল; ভারত প্রত্যাগত জুম্ম শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদেরকে তাদের জায়গা-জমি প্রত্যর্পণ পূর্বক পুনর্বাসন করা; ‘অপারেশন উত্তরণ’সহ নিরাপত্তা বাহিনীর সকল অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার, পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল চাকরিতে পাহাড়িদের অগ্রাধিকার দিয়ে স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়োগ ইত্যাদি বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অন্যদিকে অলিখিত চুক্তিতে সেটেলার বাঙালিদের পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে সম্মানজনক পুনর্বাসন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু এসব বিষয়সমূহ হয় আংশিক বাস্তবায়ন করে অথর্ব অবস্থায় রেখে দেয়া হয়েছে কিংবা সম্পূর্ণ অবাস্তবায়িত রেখে নানাভাবে পদদলিত করা হচ্ছে।
বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি-বাঙালি স্থায়ী অধিবাসীদের প্রাণের দাবি হচ্ছে পার্বত্য চুক্তির যথাযথ, দ্রুত ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন। অথচ পার্বত্য রাঙ্গামাটির জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাংসদ মহোদয় তাঁর বক্তৃতায় পার্বত্যবাসীর এই প্রাণের দাবি সম্পর্কে কোন উচ্চবাচ্য করেননি। বরঞ্চ তিনি চুক্তির বাইরে অবান্তর ইস্যু তুলে ধরে পার্বত্যবাসীর দাবিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
পার্বত্য সমস্যা সমাধানের নামে সরকারের পক্ষ থেকে প্রায়ই পার্বত্য চট্টগ্রামে আইন-শৃঙ্খলা সভা আয়োজন করা হয়ে থাকে। এসব সভায় পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের জনদাবিকে ধামাচাপা দিয়ে শুধুমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, সংঘাতের বিষয়টিকে ব্যাপকভাবে তুলে ধরা হয়। এসব সভায় পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়টাকে প্রাধান্য না দিয়ে চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলনরত সংগঠন ও অধিকারকামী জুম্ম জনগণকে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে লিপ্ত থাকার অহেতুক অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি প্রদান করা হয়।
তারই হুবহু প্রতিফলন ঘটতে দেখা গেছে গত ২৫ মে রাঙ্গামাটিতে অনুষ্ঠিত উচ্চ পর্যায়ের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ সভা ও ২৬ মে এপিবিএনের আঞ্চলিক কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। উক্ত সভায় প্রভাবশালী একজন সামরিক আমলা বলেন যে, পার্বত্য চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে মাত্র ২টি ধারা ছিল জনসংহতি সমিতির পালনযোগ্য। সেই দু’টি ধারা অনুসারে জনসংহতি সমিতির তৎকালীন সদস্যরা সকল অস্ত্র ও গোলাবারূদ জমা দেননি এবং সকল সশস্ত্র সদস্য সারেন্ডার করেননি বলে অভিযোগ করা হয়। অথচ পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের চুক্তি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদনে উক্ত দু’টি ধারা সম্পূর্ণরূপে ‘বাস্তবায়িত হয়েছে’ বলে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। এ থেকে সহজেই বুঝা যায়, শর্ষের মধ্যেই ভুত রয়েছে।
এভাবেই আজ সভা-সমাবেশে, আইন-শৃঙ্খলা মিটিঙে কিংবা জাতীয় সংসদে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের ব্যর্থতাকে ধামাচাপা দিয়ে কিংবা চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পার্বত্য সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের উপর প্রাধান্য না দিয়ে উদ্দেশ্য-প্রণোদিতভাবে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-হানাহানির ইস্যুকে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরা হয় এবং এপিবিএন কিংবা সেনা ক্যাম্প স্থাপনের মাধ্যমে পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনার যৌক্তিকতা অবতাড়না করা হয়। বস্তুত ম্যালেরিয়া রোগকে যদি যক্ষ্মা রোগের ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়, তাহলে রোগের প্রাদুর্ভাব তো বাড়বে বৈ কমবে না। তেমনি একটা রাজনৈতিক সমস্যাকে এপিবিএন কিংবা অন্য কোনো বাহিনী মোতায়েন করে কখনোই সমাধান হতে পারে না।
পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক সমস্যাকে রাজনৈতিকভাবে সমাধানের ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। বস্তুত এপিবিএন কিংবা অন্য কোনো বাহিনীর ক্যাম্প বসিয়ে নয়, যথাযথ চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান যতই এগুবে ততই পার্বত্যাঞ্চলে যেমনি স্থায়ীত্বশীল শান্তি ফিরে আসবে, তেমনি সংঘাত-হানাহানিও নি:সন্দেহে কমে আসবে।