হিল ভয়েস, ১৫ জুন ২০২২, বান্দরবান: বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রি ও আলীকদমের কুরুকপাতা ইউনিয়নের ম্রো পাড়ায় ছড়িয়ে পড়া ডায়রিয়ার পরিস্থিতি আরো অবনতি হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ বুধবার আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১০ জন মারা গেল। দুই ইউনিয়নের ১৬টি পাড়ায় আজও আরো ৬০ জনের অধিক আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।
জনপ্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মারফত জানা যায়, রেমাক্রি ইউনিয়নের মারিচ্যাপাড়ায় আজ প্রেনু ম্রো (৩৬) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে থানচিতে ৬ জুন থেকে এ পর্যন্ত ৯ জন এবং আলীকদমের কুরুকপাতায় একজনের মৃত্যু হলো। থানচির রেমাক্রি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গম সাতটি ম্রোপাড়ায় আজ দুপুর পর্যন্ত ৪৬ জন ডায়রিয়ার রোগী পাওয়া গেছে। আলীকদমের কুরুকপাতা ইউনিয়ন থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৪ জন গুরুতর রোগী ভর্তি হয়েছেন। কম গুরুতর রোগীদের পাড়াগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রেমাক্রি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আন্ধারমানিক, মারিচ্যা এলাকাটি থানচি উপজেলা সদরের ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে মিয়ানমারের সীমান্তের কাছাকাছি সাঙ্গু সংরক্ষিত বনাঞ্চল সংলগ্ন। শঙ্খ নদের উজানে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ছাড়া সেখানে কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। আর কুরুকপাতা ইউনিয়নের পুয়ামুহুরি আলীকদম উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে।
থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ওয়াহিদুজ্জামান জানান, স্বাস্থ্য বিভাগ দুর্গম আন্ধারমানিক ও মারিচ্যা এলাকায় আক্রান্ত ৪৬ জন রোগীকে চিকিৎসা প্রদান করছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়ে এসেছে। আলীকদমের ইউএইচএফপিও মাহতাব উদ্দিন জানান, কুরুকপাতার দুর্গম পাড়াগুলোতে চিকিৎসা সেবার দল কাজ করছে। পানির উৎস দূষিত হওয়ায় এবং ম্রো জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্যসচেতনতার সমস্যা থাকায় প্রতিবছর ডায়রিয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।