হিল ভয়েস, ৩১ মার্চ ২০২২, বান্দরবান: সম্প্রতি বান্দরবান জেলা শহরে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ মদদপুষ্ট মগ পার্টির সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি ও আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। একই সাথে বান্দরবান শহরসহ বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর মদদে মগ পার্টির সন্ত্রাসীদের কর্তৃক গুপ্তহত্যা ও অপহরণের মত নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঘটানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে বলেও একাধিক গোপন সূত্রে জানা গেছে। এনিয়ে জনগণের মধ্যে সন্ত্রাসীদের কর্তৃক নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঘটানোর আশংকা বিরাজ করছে।
গতকাল ৩০ মার্চ ২০২২ তারিখও বান্দরবান শহরের ‘ফোরস্টার হোটেল’ নামে একটি আবাসিক হোটেলে মগ পার্টির ৬ সন্ত্রাসী অবস্থান করছে বলে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে। ঐ আবাসিক হোটেলটি বান্দরবান ডিসি অফিসের সামনে অবস্থিত বলে জানা গেছে।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা মারমাই ঐ আবাসিক হোটেলে ওই সন্ত্রাসীদের যাবতীয় থাকা-খাওয়ার খরচ যোগাচ্ছেন বলে জানিয়েছে ওই সূত্রটি। অপরদিকে, সেনা গোয়েন্দা ডিজিএফআই ও এনএসআই এর সদস্যরা সেখানে সন্ত্রাসীদের নিরাপত্তা ও পরিচর্যার সার্বক্ষণিক দায়িত্বে রয়েছেন বলেও সূত্রটি জানায়।
ঐদিন দুপুরে বান্দরবান শহরের ম্যামাচিং মার্কেটের সামনে কয়েকজন মগ পার্টির সদস্যকে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে বলে জানায় আরেকটি সূত্র। তারা কাঁধে ব্যাগ নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় ঘোরাফেরা করছিল। কিছুক্ষণ পর তারা পার্বত্য জেলা পরিষদের রেস্ট হাউজের দিকে যায় বলে বলে জানা যায়।
এদিকে, আরেকটি সূত্র জানায়, বান্দরবান শহরে অবস্থানকারী মগ পার্টির সন্ত্রাসীরা শহরের বাইরে কোথাও যেতে আগ্রহী নয়। কারণ তারা এখন প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে আতঙ্কিত। কিন্তু বান্দরবান শহরের বালাঘাটায় অবস্থান করছে সেনাবাহিনী ও আওয়ামীলীগ মদদপুষ্ট ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) দলের সন্ত্রাসীরাও। মগ পার্টির সন্ত্রাসীরা নাকি ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) দলের সাথে মিলে কাজ করতেও রাজি নয়। এই অবস্থায় চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা একপ্রকার বড় মুশকিলে পড়েছেন বলেও জানায় সূত্রটি।
গত ২৯ মার্চ ২০২২ গভীর রাতে বান্দরবান শহরের উজানি পাড়া এলাকায় নদীর পাশে মগ পার্টির চার সদস্যকে দেখেছেন বলেও জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মারমা মহিলা।
ঐদিন সকাল ১০:০০ টার দিকে চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমার সাথে মগ পার্টির সন্ত্রাসীদের সাথে একটি গোপন বৈঠক হয় বলে জানায় গোপন এক সূত্র। তবে, ঐ বৈঠকে আরো কারা কারা ছিলেন তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। বৈঠকে গুপ্তহত্যা ও অপহরণের পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা যায়।