হিল ভয়েস, ২০ মার্চ ২০২২, ঢাকা: রাজধানীর ওয়ারীতে ইসকনের রাধাকান্ত জিউ মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
গতকাল শনিবার সংগঠনের এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আমরা গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি দীর্ঘদিন ধরেই স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালাচ্ছে, যার ধারাবাহিকতায় গত ১৭ মার্চ রাজধানীর ওয়ারীতে ইসকনের রাধাকান্ত জিউ মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘২০২০ সালে রাজধানীর এই ইসকন মন্দিরে জঙ্গি মৌলবাদীদের হামলার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। এরপর ২০২১ সালের ১৫ অক্টেবর নোয়াখালীর ইসকন মন্দিরে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী। বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য ও ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারকে বিব্রত করা এবং বাংলাদেশকে পাকিস্তানের মতো সন্ত্রাসী ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করাই এই হামলাকারীদের উদ্দেশ্য।’
তারা বলেন, অতীতে এ ধরনের হামলার সময় আমরা দেখেছি প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামায়িকভাবে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও এই সব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পরিকল্পিত সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার কারণে এ ধরনের বর্বরোচিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।
বিবৃতিতে ইসকন মন্দিরে হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবির পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন এবং ‘জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন’ গঠনের জোর দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে সই করেছেন – সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম, সাবেক বিচারপতি শামসুল হুদা, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, লেখক সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী, অধ্যাপক অনুপম সেন, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, সমাজকর্মী মালেকা খান, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপক পান্না কায়সার, অধ্যাপক মাহফুজা খানম, ঊষাতন তালুকদার, কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, অধ্যাপক ডা. কাজী কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন (অব.) আলমগীর সাত্তার বীর প্রতীক, ক্যাপ্টেন (অব.) সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীর উত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অব.), মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেন, ড. নূরন নবী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, অধ্যাপক শিল্পী আবুল বারক আলভী, সমাজ কর্মী কাজী মুকুল, কথাশিল্পী অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক আয়েশ উদ্দিন, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ডা. শেখ বাহারুল আলম, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, ডা. ইকবাল কবীর, মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্ত্তী, মুক্তিযোদ্ধা মকবুল-ই এলাহী চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান শহীদ, এডভোকেট আবদুস সালাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক আবদুল গাফফার, কবি জয়দুল হোসেন, ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ, মুক্তিযোদ্ধা কাজী লুৎফর রহমান, সাবেক জাতীয় ফুটবলার শামসুল আলম মঞ্জু, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, এডভোকেট আজাহার উল্লাহ্ ভূইয়া, অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া, সঙ্গীতশিল্পী জান্নাত-ই ফেরদৌসী লাকী, অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী শম্পা, লেখক আলী আকবর টাবী, সমাজকর্মী চন্দন শীল, এডভোকেট কাজী মানছুরুল হক খসরু, এডভোকেট দীপক ঘোষ, ড. কানিজ আকলিমা সুলতানা, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন, শহীদ সন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শহীদ সন্তান শমী কায়সার, শহীদ সন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদ সন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, মানবাধিকার কর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক সাব্বির খান, মানবাধিকার কর্মী আনসার আহমদ উল্লাহ, মানবাধিকার কর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া, এডভোকেট আবদুল মালেক, লেখক কলামিস্ট মিথুশিলাক মুর্মু, কলামিস্ট লীনা পারভীন, মানবাধিকার কর্মী রহমান খলিলুর, অধ্যাপক সুজিত সরকার, সমাজকর্মী হারুণ অর রশীদ, এডভোকেট মালেক শেখ, সহকারী অধ্যাপক তপন পালিত, সাংবাদিক দিলীপ মজুমদার, সমাজকর্মী রাশেদ রাশেদুল ইসলাম, সমাজকর্মী ইস্রাফিল খান বাপ্পি, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাগ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল, লেখক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি ও সমাজকর্মী ফয়সাল হাসান তানভীর প্রমুখ।
সূত্র : দি ডেইলি স্টার