শৈলেন চাকমা
মুক্তির র্বাতা নিয়ে এলো শোষিত-নিপীড়িত মানুষের কাছে,
স্বপ্নদ্রষ্টার চেতনায় প্রগতিশীল আর্দশে জেগে উঠেছিল শত শত তরুণ পাহাড়ে।
শাসকের অত্যাচারীর প্রতিরোধের ডাক এলো জুম্মদের ঘরে ঘরে,
ঐক্যর টানে সাড়া ফেলে ১৫ই ফব্রেুয়ারি জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হলো রাঙ্গামাটির রক্ত রাঙায়।
যৌবনের দৃপ্ত অঙ্গীকারে ৫০ টি বছর পার করে দিলো ভারাক্রান্তে।
৮৩’তে জন্ম নিলো স্বপ্ন ভাঙার বেইমানী, দ্রুত নিষ্পত্তির মীরজাফর
গিরি, প্রকাশ, দেবেন, পলাশ চক্রের হােলি খেলায়;
১০ই নভেম্বর এম এন লারমার তাজা রক্তে খসিত হলো পাহাড়।
মুক্তির দিশারী ৮ সহযোদ্ধা মগ্নচৈতন্য সৈনিকের তাজা রক্তে ভিজে গেলো মাতৃভূমি,
অস্তিত্বের সংগ্রামের ত্যাগের আত্মবলিদানে পাহাড়টি হলো শ্মশান ভূমি!
রাতের অন্ধকারে শাসকগোষ্ঠী পৃষ্ট দরজা ভাঙে,
বারুদের বিকট গন্ধে পাহাড়ে চলে ২৪ বছর সশস্ত্র রক্তের সংঘাত;
ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বপ্নঘোরে নিমগ্ন প্রতিজ্ঞায় পাহাড়ের মুক্তিফোজ।
স্বজনবিচ্ছেদে মাতৃচরণে আর্শীবাদ নিয়ে বীর সাহসী যোদ্ধা স্বপ্নের গন্তব্যে,
৯৭’তে ফিরলো না রাইফেল কাঁধে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামের মাঠে।
৯৮’তে ভয়ঙ্কর রূপে হানা দেয় চুক্তি বিরোধী চক্র,
পাহাড়ে শুরু করে অশান্তির এক মহাকাল।
বারে বারে নির্দয় আঘাত হানে জনসংহতি সমিতির উপর
ওয়ান ইলিভেনে সংস্কার এম এন লারমা নামধারী বেইমান,
র্পাবত্য চুক্তি বাস্তবায়ন নস্যাতের ষড়যন্ত্রে সেনা মদদ প্রতিয়মান।