হিল ভয়েস, ২ নভেম্বর ২০২১, রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটি জেলার বরকল উপজেলার ১৬৪ নং চাইচাল মৌজার সাবেক হেডম্যান লালতন পাংখোয়া (৪৫)-কে রাঙামাটি শহরের একটি বোর্ডিং থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ৪৫ দিন পর গত রবিবার (৩১ অক্টোবর ২০২১) রাতে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে অস্ত্রসহ আটক দেখিয়েছে ডিএমপি কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।
তার সাথে আরো ৩ জন বাঙালিকেও অস্ত্র ব্যবসায়ী হিসেবে আটক দেখানো হয়। গতকাল সোমবার (১ নভেম্বর ২০২১) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
লালতন পাংখোয়ার সাথে আরো যাদের গ্রেফতার দেখানো হয় তারা হলেন- চট্টগ্রামের লাইসেন্সকৃত অস্ত্রের দোকানদান মো. হোসেন, রাউজানের মৃত ফোরাক আহমেদের ছেলে মো. আলী আকবর (৫৫) ও চট্টগ্রামের বোয়ালখালী এলাকার মৃত মমতাজ মিয়ার ছেলে মো. আদিলুর রহমান সুজন।
অথচ এর ৪৫ দিন আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ বেলা ৩টার দিকে রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারের শান্তি বোর্ডিং থেকে লালতং পাংখোয়াকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর লালতন পাংখোয়ার স্ত্রী বরকল থানায় একটি জিডিও করেছিলেন (জিডি নং-৬২৯)। একটি জাতীয় পত্রিকায়ও তাকে তুলে নেয়ার বিষয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ তাকে উদ্ধারে যেমন কোন তৎপরতা দেখায়নি। দীর্ঘদিন ধরে কোন খোঁজ না পেয়ে তার পরিবারের লোকজন উদ্বেগের মধ্যেই দিন পার করছিলেন।
কিন্তু গতকাল সোমবার (১ নভেম্বর) সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল রবিবার রাতে সায়েদাবাদ থেকে লালতন পাংখোয়াসহ অন্যান্যদের আটকের তথ্য জানান। এতে লালতন পাংখোয়াকে ‘অস্ত্র চোরা কারবারি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এখন সচেতন মহলের প্রশ্ন, লালতন পাংখোয়াকে এতদিন কোথায় রাখা হয়েছিল? আইনগতভাবে যে কাউকে আটকের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হয়। কিন্তু লালতং পাংখোয়াকে ৪৫ দিন আগে তুলে নিয়ে যাওয়া হলেও কেন এতদিন আদালতে সোপর্দ করা হয়নি?
সূত্র: সিএইচটি নিউজ