হিল ভয়েস, ১০ নভেম্বর ২০২১, বিশেষ প্রতিবেদক: শ্রমজীবী মানুষের প্রিয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য বিপ্লবী মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয় কমিটির উদ্যোগে মহান বিপ্লবীকে শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে ঢাকার সেগুন বাগিচায় অবস্থিত বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন অডিটোরিয়ামে বিকাল ৩.০০টায় শ্রদ্ধাঞ্জলি, স্মরণসভা, প্রতিবাদী গান ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়ভাবে স্মরণ করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী ও মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খুশি কবির। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় উক্ত স্মরণসভায় আরো বক্তব্য রাখেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিষ্টার আমির-উল ইসলাম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ডা. দিবালোহ সিংহ, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ও সাবেক সাংসদ ঊষাতন তালুকদার, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং প্রমুখ। এছাড়া শোক প্রস্তাব পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. জোবাইদা নাসরিন কণা ।শোক প্রস্তাব পাঠ করে এই দিনে শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা নাতিদীর্ঘ কিন্তু এক জীবন কাটিয়েছেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও কেন মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা কেন এত প্রাঙ্গিক। জাতীয় কমিটি আজ এই প্রশ্নটি সামনে নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সামগ্রিক গঠন, গড়ন ও সামগ্রিক রূপান্তরের জন্য মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র জীবন ও দর্শন এখনো প্রাসঙ্গিক। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদ কেন্দ্রিক একজাতি একদেশ তত্ত্বকে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা সবসময় প্রশ্ন করেছেন। আদিবাসীদেরকে উপজাতি, ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীসহ নানাভাবে পরিচিত করাটা অপ্রাঙ্গিক বলেও মনে করেন তিনি।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, এটা আমাদের বেদনার একটি দিন, দু:খের দিন। এই দিনে জাতীর সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। জুম্ম জাতীকে ঐক্যবদ্ধ করার কঠিন কাজটিও তিনি সম্পাদন করেছেন। জনসংহতি সমিতি’র ছাত্র-যুব-নারী শাখাকে সংগঠিত করেছেন। জুম্ম জনগণের স্থপতি হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেতেও তার অনেক শ্রম দিতে হয়েছে। তাঁর ক্লাসমেট, জেলমেট হিসাবে আমি গর্বিত।
মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র সাথে বঙ্গবন্ধুর আলোচনার দূতিয়ালি আমি করেছি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাকে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার সাথে দেখা করিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু বাঙালি উগ্র জাতীয়তাবাদী ও ধর্মান্ধ নেতৃবৃন্দের দাপটে তখন মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’কে অপমান করা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর পরবর্তীতে ভুল ভেঙেছিল। তাই আবার মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’কে ডেকে পাহাড়ে বিশেষ স্বায়ত্বশাসনের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিলেন। সেই বিশেষ স্বায়ত্ত্বশাসনের সংক্ষিপ্ত রূপই পার্বত্য চুক্তি। বাংলাদেশর সংবিধানের পরিশিষ্টে ভারতের সংবিধানের মত চাকমা, মারমা, গারো, হাজং, ত্রিপুরা, সান্তাল সহ আরো অপরাপর আদিবাসীদের নামও লেখার জন্য তিনি জোর দিয়ে বলেন। অন্যথায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের বাংলাদেশে পরিণত হবে বলে মনে করেন তিনি। কেবল আদিবাসী, ধর্মীয় সম্প্রদায় নয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধও আক্রান্ত বলে মনে করেন এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিষ্টার আমির-উল ইসলাম বলেন, মানুষের প্রতি মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র বিরাট সহমর্মিতা ছিল এবং গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন ছিল তাঁর। আমাদের খুব সৌভাগ্য ‘ইন্টিগ্রেটেড বাংলাদেশ’ যেখানে বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি ও বহু জাতির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠান জন্য তাদের অধিকারের পক্ষ্যে দাঁড়িয়েছেন মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ও আমরা একই চিন্তায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাঁর চিন্তাগুলো নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া দরকার যিনি শোষণ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ এর স্বপ্ন দেখেছিলেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ বলেন, ষড়ঋতুর এই বাংলাদেশ খুবই বৈচিত্র্যময়। ঋতুর মধ্যে যেমন বৈচিত্র্য তেমনি জাতি ও সংস্কৃতির মধ্যেও বৈচিত্র্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় বাঙালি জাতীয়তাবাদী প্লাবন যেমন দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছিল তেমনি এখন ধর্মীয় প্লাবন পুরো বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র সংসদে বলা কথাগুলো আজও অক্ষরে অক্ষরে সত্য।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ও সাবেক সাংসদ ঊষাতন তালুকদার বলেন, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা তার জীবন ও যৌবন সবকিছু এদেশের নির্যাতিত, নিপীড়িত ও প্রান্তিক মানুষের জন্য দিয়ে গেছেন। তার সবচেয়ে বড় অবদান হল রাজনৈতিকভাবে ঘুমিয়ে থাকা জুম্মদের জাগিয়ে তোলে নিদ্রামগ্ন জনগণকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করেছেন। উনি শুধু আদিবাসী মানুষের জন্য চিন্তা করেননি। তিনি চট্টগ্রামের রেলওয়ে কলোনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে ছিলেন। যার জন্য তিনি পাহাড়ী-বাঙালি সবার জন্য চিন্তা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, যে চেতনা নিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, পাকিস্তানি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ হয়েছে। কিন্তু কী পরিবর্তন হয়েছে! আমরা কী বাংলাদেশ চেয়েছি, কী বাংলাদেশ হচ্ছে। পাহাড়ের মানুষ ভাগ ভাগ হয়ে গেছে ভেবে চুক্তি’কে ডিফ ফ্রিজে রাখা হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে যে অঙ্গীকার সরকারের রয়েছে পাহাড়ের ক্ষেত্রে তার আগে সমাধান করে তারপর পাহাড়ে উন্নয়নের চিন্তা করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি। পাহাড়ের সমস্যাকে যেভাবে উপেক্ষা করা হচ্ছে তার পরিণাম ভালো হবে না বলে হুশিয়ারী দেন এই নেতা।
বিশিষ্ট আদিবাসী গবেষক ও প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বলেন, একজন ইতিহাসের ছাত্র হিসাবে বাংলাদেশের ইতিহাসের ৬০ বছরের ইতিহাসের দিকে যদি তাকায়, তখন আমার মনে হয় মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা ছিলেন একজন ‘স্টেটস ম্যান’। তিনি হয়ত সেরকম বড় পদে ছিলেন না তবুও তিনি প্রকৃত অর্থেই একজন রাষ্ট্র নায়ক। কত যে প্রজ্ঞা ছিল, একটা রাষ্ট্র কেমন হওয়া উচিত, কী করলে একটা দেশ সকল নাগরিককে ধারণ করতে পারবে তা তিনি সবচেয়ে বেশী অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। এই বাংলাদেশী কনসেপ্ট এর মধ্য দিয়ে তিনি যেমন বাঙালিকে ধারণ করতেন তেমনি রাষ্ট্রীয় পরিচয়ে পরিচিত করিয়ে সকল আদিবাসীকেও ধারণ করতেন। মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা’র দুরদৃষ্টিকে বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশকে হাটতে হচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র অসাম্প্রদায়িক দর্শন থেকে বাংলাদেশ অনেক দূরে সরে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যে ধরণের সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটেছে তা ৬৪’র দাঙ্গাকেও হার মানিয়েছে। কারণ তখন সেই দাঙ্গা তেমন বেশী বিস্তৃত ছিল না বলে মনে হয়। এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক চেতনার মর্মমূলে আঘাত করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি ।
তিনি যতদিন বেঁচেছিলেন ততদিন বাঙালির নিপীড়িত, মেহনতী মানুষকে যেমন ধারণ করতেন তেমনি পাহাড়ের ১১ টি আদিবাসীদেরও ধারণ করতেন। এই জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জুম চাষের উত্তরাধিকারকে ধারণ করে একটা আদর্শ নিয়ে জুম্ম জাতীয়তাবাদ তত্ত্ব দিয়েছেন। যার কারণে তিনি একজন তাত্ত্বিক। আর বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের প্রথম প্রবক্তাও মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা।
এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র জীবন বেশিদিন ছিল না। কিন্তু তিনি সাড়ে তিন বছরের কিছু সময় যে সংসদ ও গণপরিষদে যে বক্তব্যগুলো তুলে ধরেছিলেন তাঁকে অমরত্ব দিয়েছে। তিনি বাংলাদেশে সমাজ, অর্থনীতি কীভাবে পরিচালিত হবে তার পথনির্দেশনা দিয়ে গেছেন । যার জন্য ইতিহাসে অক্ষয় আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে। যেসব বিষয়গুলো তিনি সংসদে প্রশ্ন করেছেন এবং দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করেছেন তা এখনো প্রাসঙ্গিক। তার প্রাসঙ্গিকতার স্বীকৃতি মিলেছে ১৯৯৭ সালের স্বাক্ষরিত চুক্তির মধ্য দিয়ে। কিন্তু সেই চুক্তি এখনো বাস্তবায়িত হয়নি বলেও আক্ষেপ করেন তিনি।
বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার আত্মত্যাগ ছিল সব মানুষের জন্য। বাংলাদেশের নারী, পুরুষ ও মেহনতী সকল মানুষের জীবন সুন্দর হয়ে উঠবে এবং এই বাংলাদেশ সুন্দর হবে। তাঁর সংসদীয় বিতর্কের বক্তব্যগুলোর আবেদন এখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও রয়ে যায়।
সভাপতি বক্তব্যে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী খুশি কবীর বলেন, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা আসলে একজন বড় মাপের নেতা। যিনি পুরো জুম্ম আদিবাসীদের একত্র করেছেন। কেবল পাহাড়ের আদিবাসী নয়, দেশের সকল মেহনতী, ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের সমান স্বীকৃতি এবং মর্যাদার দাবী করেছেন তিনি। আমরা সর্বক্ষেত্রে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আজকের প্রজন্মের কাছে পৌঁছা দরকার যে ব্যক্তি স্বাধীনতা নয় সামগ্রিক স্বাধীনতায় বড় কথা। যারা প্রান্তিক অবস্থানের আছে তাদেরকে সামনে নিয়ে আসতে না পারলে পুরো মুক্তিযুদ্ধ বৃথা হিসাবে পরিণত হবে। পাহাড়ে যে ধরণের মিলিটারাইজেশন চলছে তার বিরুদ্ধে সবাইকে কথা বলতে হবে। পাহাড়ে যে বানিজ্য ও তথাকথিত উন্নয়ন চলছে তার পেছনে বর্তমান এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কর্মপ্রাপ্তরা। এসবের বিরুদ্দে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা আমাদের কাছে একজন বাতিঘর।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর, বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আনিসুর রহমান মল্লিক, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ডা. দিবালোহ সিংহ প্রমুখ।
প্রথম পর্বের আলোচনা অনুষ্ঠানের পর প্রতিবাদী গান ও কবিতা আবৃত্তির করা হয় দ্বিতীয় পর্বে। প্রতিবাদী গান করেন গানের দল মাদল, এ্ফ মাইনর, সমগীত, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী কফিল আহমদ ও তার দল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পুষ্পস্তবক দিয়ে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাকে শ্রদ্ধা জানান মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা’র ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণ জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক খুশী কবিরের নেতৃত্বে অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। এছাড়া আরো শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, ঐক্য ন্যাপ, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র মেত্রীসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন।