হিল ভয়েস, ৩১ অক্টোবর ২০২১, তানোর: তানোরে আদিবাসীর জমি দখলে নিতে গভীর রাতে ভূমিদস্যুদের দ্বারা আদিবাসী পল্লীর ঘর-বাড়ির দরজায় তালা লাগিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
এ সময় খবর পেয়ে তানোর থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বসে আপসের জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ নিয়ে আদিবাসী পল্লীতে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তানোর-মান্দা উপজেলার সীমান্ত ঘেষা চৌবাড়িয়া হাটের দক্ষিণে তানোর উপজেলার মধ্যে মালশিরা আদিবাসী পল্লীতে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন মস মুর্মুর পুত্র দেবেন মুর্মু। গত বুধবার দিবাগত রাতে তানোর উপজেলার মালশিরা গ্রামের শরিফ আলীর পুত্র হামিদুর রহমান ও তার ভাইসহ প্রায় ২৫/৩০ জন লাঠি সোটা হাসুয়া দাসহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে রাত ১ টার দিকে মালশিরা আদিবাসী পল্লীতে এসে সকলের ঘরের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে দিয়ে সম মুর্মুর বাড়ি ভাঙচুর শুরু করে।
এসময় তানোর থানা পুলিশে ফোন দেয়া হলে রাতেই তানোর থানার এসআই নিজাম সংগীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে এসে আদিবাসীর ঘর ভাঙচুর বন্ধ করেন এবং ঘটনার সাথে জড়িত ৪ জনকে আটক করে পরে ছেড়ে দেন।
এনিয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বসে আপসের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন পুলিশ।
এ ঘটনার পর থেকে ভুমিদস্যু হামিদুর আদিবাসী দেবেন মুর্মুকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছেন। প্রভাশালী হামিদুরের হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন আদিবাসীরা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হামিদুর রহমান বলেন, আমি দেবেন মুর্মুর ভাইয়ের কাছ থেকে নিয়ম ও আইন মেনে জমি কিনেছি। ওই জমি দখলের চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র, জানিয়ে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে কামারগাঁ ইউপির দায়িত্ব প্রাপ্ত এসআই নিজাম উদ্দীনকে পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তিনি বলেন, বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানসহ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আদিবাসীদের আতঙ্কিত হওয়ার মত কোন ঘটনা ঘটেনি।